নির্মানাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর থেকে আপত্তি তুলে নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ
- আপডেট সময় : ০২:২৭:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫০৭ বার পড়া হয়েছে
নির্মানাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর থেকে আপত্তি তুলে নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ফের আগের ডিজাইনে প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তুতি শুরু করেছে সিডিএ। কিন্তু পুরো এক বছর আপত্তির কারণে কাজ বন্ধ থাকা ও নতুন ড্রইং ডিজাইন করতে গচ্ছা গেছে কয়েক কোটি টাকা। তবু আপত্তি তুলে নেয়ায় খুশি সিডিএ। আর বন্দরের দাবি, অপারেশন বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশংকা থেকে প্রথমে আপত্তি দিলে পরীক্ষা নিরিক্ষার পর তা তুলে নিয়েছেন তারা। আর নগরবিদরা বলছেন, এই ঘটনার মধ্য দিয়ে সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার চিত্রটি আরেকবার সামনে এলো।
চট্টগ্রামের লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার লম্বা এই উড়াল সড়কের নির্মান কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের মাঝে। কাজ শুরু হওয়ার দু’বছর পর বারিক বিল্ডিং থেকে সল্টগোলা ক্রসিং পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার অংশে নিরাপত্তার অজুহাতে হঠাৎ করেই আপত্তি দিয়ে বসে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর সংলগ্ন সড়ক থেকে ৩০ ফিট দুর দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ড্রইং ডিজাইনে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয় সিডিএ। এতে অন্তত আড়াইশো টি ভবন ও বিপুল পরিমান ব্যক্তিগত জমি অধিগ্রহনের প্রস্তুতিও নেয় প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু এক বছর পর এসে নিজেদের আপত্তি প্রত্যাহার করে নিলো বন্দর কর্তৃপক্ষ।এতে ফের আগের ডিজাইনে কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সিডিএ।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বারিক বিল্ডিং থেকে সল্টগোলা পর্যন্ত বন্দরের প্রধান চারটি গেইট আছে। এতে নিরাপত্তার চেয়েও প্রকল্প বাস্তবায়ন চলাকালিন সময়ে অপারেশন বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশংকা থেকেই আপত্তি জানিয়েছিলেন তারা। এখন রাস্তার দুটি লেইন সমসময় উন্মুক্ত রাখার শর্তে আপত্তি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আর নগরবিদরা বলছেন, সমন্বয়হীনতার কারণে এই এক বছর নির্ধারিত অংশে কাজ বন্ধ থাকায় দীর্ঘসুত্রিতার পাশাপাশি প্রকল্প ব্যয় ও বেড়েছে।
২০১৩ সালে ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২০ সালের জুনে বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা ব্যায়ে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয় ২০১৭ সালের ১১ জুলাই। এরই মাঝে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু ২০২৩ সালের আগে শেষ করার সম্ভাবনা দেখছেন না প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।