দেশে এখন পর্যন্ত চাহিদা অনুযায়ী করোনা ভাইরাসের পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। তিনি জানান, এরই মধ্যে দেশের সব টিকাকেন্দ্র গুলোতেও ভ্যাকসিন সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। সারাদেশে সামগ্রিকভাবে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমেছে বলে দাবি করেন ডা. নাজমুল ইসলাম। নিম্নবিত্ত ও সুবিধাবঞ্চিতদের নিবন্ধনে সহযোগিতায় স্থানীয় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করার কথা জানান তিনি ।

গেল একুশ জানুয়ারি প্রথম ভারত থেকে উপহার হিসেবে ২০ লাখ ভ্যাকসিন পায় বাংলাদেশ। এরপর সরকারিভাবে কেনা ভ্যাকসিনের প্রথম চালান ৫০ লাখ আসে ২৫ জানুয়ারি। আর দ্বিতীয় চালানে আসা ২০ লাখসহ এ পর্যন্ত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি ভ্যাকসিন এসেছে ৯০ লাখ।

২৭ জানুয়ারি ভ্যাকসিন নেয়া কার্যক্রমের উদ্বোধনের পর এরইমধ্যে সুরক্ষা অ্যাপস-এর মাধ্যমে সারাদেশে নিবন্ধন ও ভ্যাকসিন গ্রহন করেছেন ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ। তবে এক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছে নিন্মবিত্ত ও সুবিধাবঞ্চিতরা। করোনার সুরক্ষায় ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহ থাকলেও নিবন্ধন পদ্ধতির সহজীকরণের প্রত্যাশা তাদের।

এদিকে, ভ্যাকসিন গ্রহণে নিবন্ধনের বিকল্প নেই উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক জানান, সকলকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে কাজ করছে সরকার।

দেশে ভ্যাকসিন সংকটের কোন আশংকা নেই জানিয়ে তিনি আরো বলেন, সারাদেশে এর বন্টন ও সংরক্ষণেও ব্যবহার করা হয়েছে সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পদ্ধতি ইপিআই। এছাড়া নিয়ম মেনে ভ্যাকসিন গ্রহণের ফলে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন কমে আসার পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণও কমে আসবে বলেও জানান অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।