দেশজুড়ে ঘন ঘন লোডশেডিং
- আপডেট সময় : ০৭:৩২:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জুলাই ২০২২
- / ১৫২৩ বার পড়া হয়েছে
জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সারাদেশে বিদ্যুতের এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হলেও একঘণ্টার কথা বলে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। দিনের বেলায় তীব্র গরমে বিদ্যুতের টানা লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন। বন্ধ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া। ব্যাহত ব্যবসা-বাণিজ্য। এমন ব্যবস্থাপনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
রাজশাহী বিভাগে ঘোষিত সিডিউল মেনে লোডশেডিং কার্যকর করা হচ্ছে না। হুটহাট যে কোনো এলাকায় লোডশেডিং হচ্ছে। দিনে একঘন্টা লোডশেডিংয়ের কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এমন ব্যবস্থাপনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রাহকরা। এজন্য তারা বিদ্যুৎ বিভাগের সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করেছেন।
ময়মনসিংহেও বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ জনজীবন। দিনে-রাতে ঘনঘন বিদ্যুৎ যাওয়ায় চরম বিপাকে মানুষ। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা জেলার পল্লী বিদ্যুতের। কোথাও কোথাও ১০ থেকে ১২ ঘন্টা লোডশেডিং করছে পল্লী বিদ্যুৎ। ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, যেখানে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা, সেখানে ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। তাই ঘনঘন লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
রংপুরে লোডশেডিংয়ে আধঘণ্টা পর আবারও চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ। ২৪ ঘণ্টায় ৫ থেকে ৬ ঘণ্টায় থাকছে না বিদ্যুৎ। রাত ৮টার পর দোকানপাট বন্ধ করলেও সঠিকভাবে বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা। বিদ্যুৎ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন পরীক্ষার্থীরা।
তীব্র গরম আর অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে চরম দুর্ভোগে নীলফামারীর জনজীবন। প্রভাব পড়েছে স্কুল-কলেজ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সব ক্ষেত্রে। এদিকে, প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় লোডশেডিংয়ের সময় বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে নর্দার্ন ইলেক্ট্রিসিটি।
ঘন্টার পর ঘন্টা লোড শেডিংয়ের কবলে কুড়িগ্রাম জেলা। এক ঘন্টা পর-পর বিদ্যুৎ না থাকায় বিপর্যস্থ শহর ও গ্রামের মানুষ। বিদ্যুৎ অফিস জানায়, ২৪ ঘন্টায় পল্লী বিদ্যুতের ১২৯ মেগাওয়াটের বিপরীতে সরবরাহ মাত্র ৭৩ মেগাওয়াট।
নওগাঁয় শহর গ্রাম সব জায়গায়তেই বিদ্যুতের অবস্থা খারাপ। দিনে রাতে ২ ঘন্টা লোডশেডিং করার কথা থাকলেও অনেক এলাকায় লোডশেডিং হচ্ছে দীর্ঘ সময়। সিডিউল অনুযায়ী বিদ্যুৎ পরিচালনা করা হচ্ছে না বলেও জানান শহরবাসী।