০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

দুই সিটি করপোরেশনের সাথে ওয়াসার সমন্বয়হীনতার কারণে শেষ হচ্ছে না সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৫২:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দুই সিটি করপোরেশনের সাথে ওয়াসার সমন্বয়হীনতার কারণে শেষ হচ্ছে না রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। দুইটি সংস্থাই একে আরেকের উপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে। এছাড়াও সড়ক খনন এবং পুননির্মাণের নীতিমালা কার্যকর না হওয়ায় রাজধানীবাসীর দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। নগরপরিকল্পনাবিদরা বলেন, ঢাকা শহরকে জনদুর্ভোগ মুক্ত করতে বাজেট প্রনয়নের সময় নতুন ভাবনা প্রয়োজন।

তিলোত্তমা ঢাকার অন্যতম ব্যস্ত এলাকা মিরপুর-১০ ও শেওড়া পাড়া ও পীরেরবাগ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পাইপ লাইন বসানোর জন্য খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করছে ঢাকা ওয়াসা। প্রতিদিন এই রুটে অজস্র যানবাহন ও মানুষের চলাচলে বিগ্নিত হলেও কর্তৃপক্ষ থোরাই কেয়ার করছে। নিদিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে গোটা মিরপুর বাসী। আর ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট লেগে থাকা নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার। অন্যদিকে মেট্টোরেলের কাজের জন্য এরই মাঝে সরু হয়ে গেছে প্রধান সড়ক। তার উপর উন্নয়ন কাজের নামে কাটাকাটি যেন হয়ে উঠেছে গোদের উপর বিষফোঁড়া। ফলে ধুলা-বালি সঙ্গী করে যাতায়াত করছে অসহায় নগরবাসী।

নীতিমালার বিধানে বলা হয়েছে, কোনো প্রধান সড়ক খননের জন্য একবার কোনো সংস্থাকে অনুমতি দেয়ার পর অপরিহার্য না হলে উক্ত অর্থ বছরে ওই সড়কে আর কাউকে খননের অনুমতি দেয়া হবে না। অনিবার্য না হলে খননকাজ শুধু রাতের বেলাই হবে। যখন যান চলাচল তুলনামুলক কম থাকে, সে সময়ে করতে হবে।

সার্বিক কাজ তদারকিতে কেন্দ্রীয়ভাবে সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি ‘ওয়ান স্টপ’ সমন্বয় সেল এবং সিটি করপোরেশনের অঞ্চলভিত্তিক কয়েকটি ‘মনিটরিং সেল’ গঠন করার কথা বলা আছে। নীতিমালা অনুযায়ী মে, জুন, জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে রাস্তার খনন কাজ পরিহার করতে হবে।

কিন্তু তা কোন প্রতিষ্ঠানই নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছেনা। অনিয়মিভাবে নগরীর বিভিন্ন স্থানে খোঁড়াখুঁড়ির কারণে জনদুর্ভোগ কমছেনা। পাশাপাশি প্রতিনিয়ত রাস্তায় বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা।

নগর পরিকল্পনাবিদদের মতে, বাজেটের সময় জুন হওয়ার কারণে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা তাড়াহুড়ো করে কাজ বাড়িয়ে দেয়। যাতে করে প্রকল্পের জন্য অনুদান পাওয়া অর্থ ফেরত দিতে না হয় সেজন্য তারা শেষ মুহুর্তে দৌড়ঝাপ শুরু করেন।

অন্যদিকে রাজধানীবাসীকে সেবাদানকারী অন্যতম সংস্থা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান জানান, ওয়াসা সমন্বয় করে সব প্রকল্পের কাজ সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন করে। এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র আতিকুলের বক্তব্য হচ্ছে, পুরনো কাজের ম্যাপিং না থাকায় দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করা এটি বড় চ্যালেঞ্জ। জনপ্রতিনিধিদের কথার আশ্বাসে আর বিশ্বাস করেনা নগরবাসী। জনদুর্ভোগ কমাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো দ্রুত উদ্যোগী হবে এমনটাই সবার প্রত্যাশা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

দুই সিটি করপোরেশনের সাথে ওয়াসার সমন্বয়হীনতার কারণে শেষ হচ্ছে না সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ

আপডেট সময় : ০১:৫২:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

দুই সিটি করপোরেশনের সাথে ওয়াসার সমন্বয়হীনতার কারণে শেষ হচ্ছে না রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। দুইটি সংস্থাই একে আরেকের উপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে। এছাড়াও সড়ক খনন এবং পুননির্মাণের নীতিমালা কার্যকর না হওয়ায় রাজধানীবাসীর দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। নগরপরিকল্পনাবিদরা বলেন, ঢাকা শহরকে জনদুর্ভোগ মুক্ত করতে বাজেট প্রনয়নের সময় নতুন ভাবনা প্রয়োজন।

তিলোত্তমা ঢাকার অন্যতম ব্যস্ত এলাকা মিরপুর-১০ ও শেওড়া পাড়া ও পীরেরবাগ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পাইপ লাইন বসানোর জন্য খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করছে ঢাকা ওয়াসা। প্রতিদিন এই রুটে অজস্র যানবাহন ও মানুষের চলাচলে বিগ্নিত হলেও কর্তৃপক্ষ থোরাই কেয়ার করছে। নিদিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে গোটা মিরপুর বাসী। আর ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট লেগে থাকা নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার। অন্যদিকে মেট্টোরেলের কাজের জন্য এরই মাঝে সরু হয়ে গেছে প্রধান সড়ক। তার উপর উন্নয়ন কাজের নামে কাটাকাটি যেন হয়ে উঠেছে গোদের উপর বিষফোঁড়া। ফলে ধুলা-বালি সঙ্গী করে যাতায়াত করছে অসহায় নগরবাসী।

নীতিমালার বিধানে বলা হয়েছে, কোনো প্রধান সড়ক খননের জন্য একবার কোনো সংস্থাকে অনুমতি দেয়ার পর অপরিহার্য না হলে উক্ত অর্থ বছরে ওই সড়কে আর কাউকে খননের অনুমতি দেয়া হবে না। অনিবার্য না হলে খননকাজ শুধু রাতের বেলাই হবে। যখন যান চলাচল তুলনামুলক কম থাকে, সে সময়ে করতে হবে।

সার্বিক কাজ তদারকিতে কেন্দ্রীয়ভাবে সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি ‘ওয়ান স্টপ’ সমন্বয় সেল এবং সিটি করপোরেশনের অঞ্চলভিত্তিক কয়েকটি ‘মনিটরিং সেল’ গঠন করার কথা বলা আছে। নীতিমালা অনুযায়ী মে, জুন, জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে রাস্তার খনন কাজ পরিহার করতে হবে।

কিন্তু তা কোন প্রতিষ্ঠানই নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছেনা। অনিয়মিভাবে নগরীর বিভিন্ন স্থানে খোঁড়াখুঁড়ির কারণে জনদুর্ভোগ কমছেনা। পাশাপাশি প্রতিনিয়ত রাস্তায় বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা।

নগর পরিকল্পনাবিদদের মতে, বাজেটের সময় জুন হওয়ার কারণে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা তাড়াহুড়ো করে কাজ বাড়িয়ে দেয়। যাতে করে প্রকল্পের জন্য অনুদান পাওয়া অর্থ ফেরত দিতে না হয় সেজন্য তারা শেষ মুহুর্তে দৌড়ঝাপ শুরু করেন।

অন্যদিকে রাজধানীবাসীকে সেবাদানকারী অন্যতম সংস্থা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান জানান, ওয়াসা সমন্বয় করে সব প্রকল্পের কাজ সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন করে। এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র আতিকুলের বক্তব্য হচ্ছে, পুরনো কাজের ম্যাপিং না থাকায় দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করা এটি বড় চ্যালেঞ্জ। জনপ্রতিনিধিদের কথার আশ্বাসে আর বিশ্বাস করেনা নগরবাসী। জনদুর্ভোগ কমাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো দ্রুত উদ্যোগী হবে এমনটাই সবার প্রত্যাশা।