ডলারের উর্ধ্বগতিতে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পণ্য মজুদে ঘাটতি
- আপডেট সময় : ০২:১৩:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ অগাস্ট ২০২২
- / ১৫৪৪ বার পড়া হয়েছে
নতুন পণ্য আসছে না দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারী বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে। ডলারের বাজার অস্থিরতার পাশাপাশি ৭৫ ভাগ মার্জিনে এলসি করার সক্ষমতা না থাকায়, পণ্য আনতে পারছেন না আমদানীকারকরা। ব্যবসায়ীদের দাবি, এভাবে চললে আগামী মাসের শুরু থেকেই ভয়াবহ সংকটে পড়বে গোটা দেশ। এতে আরেক দফা চাপ তৈরী হবে নিত্যপণ্যের বাজারে। পরিস্থিতি উত্তরণে খাদ্যপণ্যের ওপর আমদানী নিয়ন্ত্রন নীতি শিথিল করার দাবি ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর।
দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারী বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের চিত্র এটি। স্বাভাবিক সময়ে যেখানে ক্রেতা বিক্রেতার হাঁক-ডাক আর শ্রমিক কর্মচারীদের ব্যাস্ততায় তিল ধারনের ঠাঁই থাকে না; এখন তা অনেকটাই ফাঁকা। ব্যবসায়ীদের গুদামে টান পড়তে শুরু করেছে। স্টক পণ্যে বড়জোর এই মাস চলবে। এর মধ্যে নতুন পণ্য না এলে তৈরী হবে সংকট।
দেশের নিত্যপণ্যের চাহিদার ৪০ শতাংশই সরবরাহ করে এই বাজারের ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন অন্তত দেড় হাজার পণ্যবাহী ট্রাক আসা-যাওয়া করে এই বাজারে। কিন্তু ডলার বাজার অস্থির আর আমদানীতে কড়াকড়ির পর নতুন পণ্য তেমন আসছে না।
বাজারে এখন যে পণ্য আছে তা ডলার বাজার অস্থির হওয়ার আগের। নতুন এলসির পণ্য আসবে আগামী মাসের শুরু থেকে। কিন্তু আমদানীকারকদের কাছ থেকে নতুন পণ্যের খবর পাচ্ছে না পাইকাররা। তাই সংকটের আশংকায় বেড়েছে।
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো বলছে, ডলার সংকট মোকাবিলা করতে গিয়ে এলসির ক্ষেত্রে ৭৫ থেকে শতভাগ মার্জিন নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এতো টাকা লগ্নী করার সক্ষমতা খাতুনগঞ্জের বেশিরভাগ ব্যবসায়ীর নেই। তাই নিত্যপণ্যের কড়াকড়ি শিথিল না করলে সংকট ঘনিভুত হবে।
উদ্ভুত বাস্তবতার সঙ্গে, চট্টগ্রামে পরিবহণের বাড়তি ভাড়া, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কথিত ওজন স্কেলের বাধ্যবাধকতাসহ নানামুখি সংকটে খাতুনগঞ্জ।