জাতীয় শোক দিবস আজ
- আপডেট সময় : ০১:২৭:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল লাখো মানুষ, হানাদারদের পরাজিত করে ছিনিয়ে এনেছিল বাংলার স্বাধীনতার লাল সূর্য। ১৯৭৫ এর এই দিনে তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে পাকিস্তানের দোসররা চেয়েছিল বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের চেতনাকে মুছে দিতে। কিন্তু সে চেষ্টা ব্যর্থ করে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ।
বঙ্গবন্ধু, জাতির পিতা, স্বাধীনতার স্থপতি ও রাষ্ট্রপ্রধান- একের ভিতরে অসীম, শেখ মুজিবুর রহমান। অথচ আর দশজন বাঙ্গালীর মতই ছিলো তার জীবন-যাপন। ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন, কিন্তু বাস করতেন ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের এই অতি সাধারণ বাড়িটিতে।
নিরাপত্তার বাড়াবাড়ি ছিলো না বাড়িটিতে, সবার জন্য অবারিত ছিল। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন, বাংলাদেশের কোন মানুষ কখনোই তার কোন ক্ষতি করতে পারে না।
কিন্তু না, বিশ্বাসঘাতকরা সুযোগ নিলো ৭৫ এর ১৫ আগস্টের রাতে। ভোরের আলো ফোঁটার আগেই হত্যা করলো জাতির পিতাকে। হত্যা করা হয় বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, তাদের নবপরীনিতা দুই বঁধু সুলতানা কামাল ও রোজী জামালকে। ঘাতকের হাত এতটুকু কাঁপেনি শিশু রাসেলকে হত্যা করতে গিয়ে। নিহত হন বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ আবু নাসেরকে, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি ও তার অন্তসত্ত্বা স্ত্রী শেখ আরজু মনিকেও।
রূখে দাঁড়ানোয় জীবন দিতে হয়েছিল কর্নেল জামিল ও পুলিশ সদস্য সিদ্দিকুরকেও। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সব কিছু ধামা চাপা দিতে চেয়েছিল ঘাতকরা। বছরের পর বছর চলে যায়, ইতিহাস বিকৃতির সাথে পিছিয়ে যেতে থাকে সম্ভাবনার বাংলাদেশ।
১৯৯৬ সালে ইনডেমনিটির কালো বাঁধা কাটিয়ে ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকান্ডের বিচার শুরু হয়। অবশেষে ২০১০ সালের ২২ জানুয়ারী ৫ জন খুনীকে ফাঁসি দেয়া হয়। পরবর্তীতে বিদেশে পালিয়ে থাকা খুনিদেরও শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। আর তা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠকন্যা শেখ হাসিনার জন্য। ৭৫ এর আগস্টে তিনি আর তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় বেঁচে গিয়েছিলেন। পুরো পরিবারের এ দু’জনেই বেঁচে গিয়েছিলেন সেদিন। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে বর্তমানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।
ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার হাজারো ষড়যন্ত্র হলেও যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।