উৎপাদন অনুপাতে চাহিদা ও বন্টন বাড়াতে না পারায় বিদ্যুত এখন গলার কাঁটা
- আপডেট সময় : ০৭:৪১:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুন ২০২০
- / ১৫১১ বার পড়া হয়েছে
উৎপাদন বাড়ালেও সেই অনুপাতে চাহিদা ও বন্টন বাড়াতে না পারায় বিদ্যুত এখন সরকারের নতুন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে মনে করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ- সিপিডি। সকালে ‘বিদ্যুৎ খাতে বন্টনের অগ্রাধিকার ও বিকল্প প্রস্তাবনা’ শীর্ষক বাজেট পর্যালোচনায় এ তথ্য তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। বিতরণ বিভাগের ভুলের কারণেই করোনার ছুটির মাঝে বেশকিছু জায়গায় অতিরিক্ত বিদ্যুত বিল হয়েছে জানিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এগুলো সমন্বয়ের কথা জানান।
করোনার মাঝে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে বন্টনের অগ্রাধিকার ও বিকল্প প্রস্তাবনা নিয়ে ভার্চুয়াল আলোচনার আয়োজন করে সিপিডি।
সিপিডি’র প্রধান নির্বাহী ড. ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় শুরুতে মূল প্রতিবেদন তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। জানান, উৎপাদনে ব্যাপক ভিত্তিক বিনিয়োগ ও অন্তর্ভুক্তির তুলনায় বন্টন বাড়াতে না পারলে বিদ্যুত আগামীতে বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
এ সময় বিদ্যুৎ খাত সরকারের রাজনৈতিক-অর্থনীতির শিকার উল্লেখ করে প্রয়োজনের তুলনায় উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বাড়ানোর কারণে বাজেটে এ খাতে বিপুল ভর্তুকি দিচ্ছে বলে জানান তিনি।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিদ্যুৎ খাতে জাপান ৬ বিলিয়নের সাথে আরো ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে জানিয়ে নেপাল থেকেও বিদ্যুৎ আমদানীর চুক্তি সম্পন্নের কথা জানান, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
বিদ্যুতের ভৌতিক বিলের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনার বন্ধের মাঝে মিটার রিডিং ছাড়াই বিল করে পরে তা সমন্বয়ের সময় এই ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।
দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি বিদ্যুৎ খাতকে কিভাবে আরো সাশ্রয়ী করা যায় সে বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে যাবার কথা জানান সিপিডি’র প্রধান নির্বাহী।