চট্টগ্রামে বাজার ঘুরেও প্রয়োজনীয় ওষুধ পাচ্ছেন না ক্রেতারা
- আপডেট সময় : ০১:২১:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুন ২০২০
- / ১৫০৭ বার পড়া হয়েছে
করোনার চিকিৎসায় ব্যবহার হচ্ছে এমন কোন ওষুধের নাম গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলেই তা বাজার থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে। এমনকি সর্দি জ্বর বা হাঁচি-কাশির জন্য ব্যবহৃত অতি সাধারণ ওষুধও মিলছে না কোথাও। অক্সিজেন সিলিন্ডার থাকলে মিটার নেই, মিটার থাকলে সিলিন্ডার নেই। এমন হ-য-ব-র-ল অবস্থায় চলছে চট্টগ্রামের ওষুধের বাজার। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বন্দর নগরীতে। আর ক্যাব বলছে, প্রশাসনের মনিটরিং না থাকায় মরার ওপর খড়ার ঘাঁ হিসেবে দেখা দিয়েছে ওষুধ সংকট।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের খুচরা ওষুধের বাজারের চিত্র এটি। প্রতিটি দোকানই ওষুধে ঠাসা। কিন্তু পুরো বাজার ঘুরেও প্রয়োজনীয় ওষুধ পাচ্ছেন না ক্রেতারা। করোনার ওষুধ তো দুরের কথা অন্য রোগের ওষুধও মিলছে না এসব দোকানে। এমন অভিযোগ ক্রেতাদের।
করোনা চিকিৎসায় সম্ভাব্য ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরী করেছে সিন্ডিকেট। বিভিন্ন কোম্পানীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ডিলার ও অসাধু ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে এই সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ খুচরা বিক্রেতাদের।
করোনায় আক্রান্তদের জীবন রক্ষার সবচেয়ে বড় উপকরণ অক্সিজেন। বাজারে এর তীব্র সংকট। কিছু দোকানে সিলিন্ডার দেখা গেলেও মিটার নেই কোথাও। তাই ৬ হাজার টাকার সিলিন্ডার এখন ৩০ হাজারেও বিক্রি হচ্ছে। ২০ টাকার ডক্সিক্যাপ ৬০ টাকা, ৭৫০ টাকার আইভেরা ট্যাবলেট আড়াই হাজার, ২৫ টাকার জিঙ্ক ৮০ টাকা, ৫০ টাকার স্ব্যাবো ট্যাবলেট ৮ শো টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এতে ক্ষুব্ধ বিএমএও।
ক্যাব বলছে, ওষুধ সিন্ডিকেটের হোতাদের খুজে বের করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা না করলে এই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে।
চট্টগ্রামে বাজার অস্থির থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন রোগী ও স্বজনরা।