০২:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

চট্টগ্রামে ঝুঁকিপর্ণ অবস্থায় চলছে টাইগারপাস থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৪৪:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ অগাস্ট ২০২২
  • / ১৫৪১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রামে ঝুঁকিপর্ণ অবস্থায় চলছে টাইগারপাস থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ। নিরাপত্তা বাউন্ডারি, সেফটিনেটের মতো অপরিহার্য সরঞ্জামের কিছুই ব্যবহার করা হচ্ছে না। উন্মুক্ত সড়কে সাধারণ যানবাহনের সঙ্গে চলছে ক্রেন, এক্সেভেটরের মতো ভারী নির্মাণসামগ্রী।এতে ঢাকার উত্তরার মতো বড়ো দুর্ঘটনার শঙ্কায় সাধারণ মানুষ। তবে সিডিএর দাবি, আধুনিক যন্ত্রাংশ ব্যবহার আর জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর সংলগ্ন পতেঙ্গা-বহদ্দারহাট সড়কের চিত্র এটি। এই সড়কের টাইগারপাস থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজ করছে সিডিএ। ট্রাফিক পুলিশের হিসেবে ছোট-বড় মিলিয়ে দৈনিক অন্তত ১৮ হাজার যানবাহন চলাচল করে ব্যাস্ততম সড়কটিতে।

অথচ বড় এই প্রকল্প বাস্তবায়নে যে পরিমান নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার করার কথা, তার কিছুই নেই। কোথাও কোথাও টিনের ব্যারা থাকলেও বেশিরভাগ এলাকা অরক্ষিত। ব্যস্ত সড়কে উন্মুক্ত অবস্থায় সাধারণ যানবাহনের সঙ্গেই ব্যবহার করা হচ্ছে নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ক্রেন, এক্সেভেটরের মতো ভারী যন্ত্রাংশ। কোথাও সড়কের মাঝেই গর্ত। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে যাত্রী ও পরিবহণ।

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ চলার সময় গার্ডার ধসে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। সোমবার ঢাকার উত্তরায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এছাড়া ছোট বড় দুর্ঘটনা তো প্রতি নিয়তই ঘটছে। অথচ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলতা আর তদারকি প্রতিষ্ঠানের সামান্য আন্তরিকতা থাকলেই এড়ানো মর্মান্তিক সব দুর্ঘটনা।

তবে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সিডিএ বলছে, ঢাকার দুর্ঘটনার পর চট্টগ্রামের ঠিকাদারকে সতর্ক করা হয়েছে।

১৮ কিলোমিটার লম্বা এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ এরইমধ্যে ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের শেষে উদ্বোধন করা হবে সরকারের এই মেগা প্রকল্পটি।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চট্টগ্রামে ঝুঁকিপর্ণ অবস্থায় চলছে টাইগারপাস থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ

আপডেট সময় : ০১:৪৪:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ অগাস্ট ২০২২

চট্টগ্রামে ঝুঁকিপর্ণ অবস্থায় চলছে টাইগারপাস থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ। নিরাপত্তা বাউন্ডারি, সেফটিনেটের মতো অপরিহার্য সরঞ্জামের কিছুই ব্যবহার করা হচ্ছে না। উন্মুক্ত সড়কে সাধারণ যানবাহনের সঙ্গে চলছে ক্রেন, এক্সেভেটরের মতো ভারী নির্মাণসামগ্রী।এতে ঢাকার উত্তরার মতো বড়ো দুর্ঘটনার শঙ্কায় সাধারণ মানুষ। তবে সিডিএর দাবি, আধুনিক যন্ত্রাংশ ব্যবহার আর জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর সংলগ্ন পতেঙ্গা-বহদ্দারহাট সড়কের চিত্র এটি। এই সড়কের টাইগারপাস থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজ করছে সিডিএ। ট্রাফিক পুলিশের হিসেবে ছোট-বড় মিলিয়ে দৈনিক অন্তত ১৮ হাজার যানবাহন চলাচল করে ব্যাস্ততম সড়কটিতে।

অথচ বড় এই প্রকল্প বাস্তবায়নে যে পরিমান নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার করার কথা, তার কিছুই নেই। কোথাও কোথাও টিনের ব্যারা থাকলেও বেশিরভাগ এলাকা অরক্ষিত। ব্যস্ত সড়কে উন্মুক্ত অবস্থায় সাধারণ যানবাহনের সঙ্গেই ব্যবহার করা হচ্ছে নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ক্রেন, এক্সেভেটরের মতো ভারী যন্ত্রাংশ। কোথাও সড়কের মাঝেই গর্ত। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে যাত্রী ও পরিবহণ।

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ চলার সময় গার্ডার ধসে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। সোমবার ঢাকার উত্তরায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এছাড়া ছোট বড় দুর্ঘটনা তো প্রতি নিয়তই ঘটছে। অথচ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলতা আর তদারকি প্রতিষ্ঠানের সামান্য আন্তরিকতা থাকলেই এড়ানো মর্মান্তিক সব দুর্ঘটনা।

তবে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সিডিএ বলছে, ঢাকার দুর্ঘটনার পর চট্টগ্রামের ঠিকাদারকে সতর্ক করা হয়েছে।

১৮ কিলোমিটার লম্বা এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ এরইমধ্যে ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের শেষে উদ্বোধন করা হবে সরকারের এই মেগা প্রকল্পটি।