চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শত বছরের খাল ভরাট করে নির্মাণ হচ্ছে শিপ ইয়ার্ড
- আপডেট সময় : ০১:৩৯:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুলাই ২০২০
- / ১৫০৭ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শত বছরের একটি খাল ভরাট করে নির্মাণ করা হচ্ছে শিপ ইয়ার্ড। ইতোমধ্যে খালের মুখে সাগরপাড়ের স্লুইস গেটটিও ভেঙে ফেলা হয়েছে। এতে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশংকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন আশপাশের অন্তত ১০ টি গ্রামের মানুষ। পুরোনো এই খালটির অস্তিত্ব রক্ষার পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পরিবেশকর্মীরা। আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বললেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন তিনি।
সীতাকুণ্ড উপজেলার উত্তর সোনাইছড়ি ইউনিয়নের এই খালটির নাম কন্যা খাল। এখানকার রাজাপুর, আলোকদিয়া, জেলেপাড়া, কোর্টপাড়া ও লোহারপুলসহ সাগরপাড়ের অন্তত ১০ গ্রামের বৃষ্টির পানি নামে এই খালটির মাধ্যমে । সাগরের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ায় জোয়ারের পানি যাতে গ্রামগুলোতে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য খালটির মুখে একটি স্লুইচ গেটও আছে।
খালটির পাশের একটি সরকারি জমিতে শিপ ব্রেকিংইয়ার্ড নির্মানের শর্তে ইজারা নিয়েছে মহররম ইস্পাত নামের একটি কোম্পানী। স্থানীয়দের অভিযোগ, ইজারার বাইরেও বিপুল পরিমান খাস জমি দখলে নেয়ার পাশাপাশি কন্যা খালের মুখটিও ভরাট করে ফেলেছে নির্মানাধিন ইয়ার্ডটির কর্তৃপক্ষ। শর্তভঙ্গের অভিযোগ তুলে নবনির্মিত ইয়ার্ডের ইজারা বাতিলের দাবি তুলেছেন পরিবেশ কর্মীরা।
সীতাকুণ্ডের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বললেন, খালের জমি ও স্লুইচ গেইট রক্ষণাবেক্ষণের শর্তেই জমির ইজারা দেয়া হয়েছে। শর্তের ব্যত্যয় ঘটলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সীতাকুণ্ডের
নির্বাহী কর্মকর্তা। অভিযুক্ত মহররম ইস্পাতের মালিক কামাল পাশার দাবি, খালের জমি ও স্লুইচ গেইট দখল করেননি তিনি। সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট থেকে সোনাইছড়ি পর্যন্ত সমুদ্রের উপকুলীয় এলাকাকে শিপব্রেকিং জোন হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। এরপর থেকে ইজারার মাধ্যমে শিপইয়ার্ডের অনুমতি দেয়া হলেও তাতে সংরক্ষিত বনাঞ্চল, সরকারী খাল ও পাহাড়ী ছড়া রক্ষণাবেক্ষণ বাধ্যতামুলক করা হয়েছে।