গত দু’মাসে প্রায় ৫০ হাজার ভাড়াটিয়া ঢাকা ছেড়েছে
- আপডেট সময় : ০৪:৩৭:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুলাই ২০২০
- / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
করোনার প্রভাবে কর্মহীনতা, চাকুরিচ্যুতি ও বেতন-ভাতা আটকে যাওয়ার পাশাপাশি বাড়ি ভাড়ার চাপে গত দু’মাসে প্রায় ৫০ হাজার ভাড়াটিয়া ঢাকা ছেড়েছে। তাই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার বাড়ীতে ঝুলছে এখন “টু-লেট”। এ অবস্থায় কর্মসংস্থানসহ টিকে থাকতে সরকারের কাছে গ্যাস-বিদ্যুতের বিলসহ অন্তত তিন মাসের বাড়ি ভাড়া মওকুফের ব্যবস্থা নিতে দাবি জানিয়েছেন ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার। ওদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাড়ীভাড়া কমিয়ে দেয়ার পরও নতুন ভাড়াটিয়া না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অসংখ্য বাড়ির মালিকর। ব্যাংকের ঋণ আর সিটি করপোরেশনের ট্যাক্স পরিশোধে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
ঢাকার ভাটারায় দুই ইউনিটের ৫ তলা এই ভবনটি ভাড়া দিয়ে আয় করছিলেন কিরন মৃধা। এতদিন ভবনের ১০টি ফ্ল্যাটে ভাড়াটিয়া থাকলেও করোনায় কর্মসংস্থান হারিয়ে আগের ভাড়াটিয়াদের বেশিরভাগই সপরিবারে ঢাকা ছাড়ায় ৯টি ফ্ল্যাটই এখন খালি। “টু-লেট” ঝুলিয়ে আগের ভাড়ার চেয়েও কম ভাড়াতে পাওয়া যাচ্ছে না নতুন ভাড়াটিয়া।
আর বাড্ডার এই বাড়ির মালিকের ১০টি ফ্ল্যাটেই এখন নেই কোন ভাড়াটিয়া। এ অবস্থায় ব্যাংক ঋণ পরিশোধে সরকারের সহযোগিতা চান তিনি।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ঢাকার ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষের মধ্যে ১ কোটি ৩৫ লাখই ভাড়াটিয়া। করোনা পরিস্থিতিতে চাহিদার অভাবে বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ ও অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধের প্রভাবে কর্মী ছাঁটাই, বেতন হ্রাস ও কর্মহীনতার পাশাপাশি বাসা ভাড়ার চাপে প্রতিদিনই ঢাকা ছাড়ছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ।
ভাড়াটিয়া পরিষদের দাবি- কর্মসংস্থান হারিয়ে রাজধানী ঢাকার ‘ভাড়া বাসা’ ছেড়ে এরই মাঝে পরিবারের অন্তত ৫০ হাজার সদস্যকে গ্রামে পাঠিয়ে পরিবার-প্রধান উঠেছেন মেসে।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাম্প্রতিক এক জরীপ রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনার সাধারণ ছুটির ৬৬ দিনে কর্মহীন হয়েছে দেশের তিন কোটি ৬০ লাখ মানুষ। এর ফলে এখন ছয় কোটি ৮০ লাখে দাঁড়িয়েছে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা।