কোরবানীর চামড়ার দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
- আপডেট সময় : ০১:১৯:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ জুলাই ২০২২
- / ১৫১৩ বার পড়া হয়েছে
কোরবানী শেষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের আড়তগুলোতে চলছে চামড়া সংগ্রহ।
তবে চামড়ার দাম নিয়ে মৌসুমী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা জানান, চামড়ার ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না তারা। সরকার ঘোষিত দামের চেয়েও অনেক কম দিচ্ছেন আড়তদাররা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আড়তদাররা। এদিকে ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত মূল্য পাচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করতে মাঠে নেমেছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর।
চামড়া ব্যবসায়ীদের কাঁচা চামড়া সংগ্রহের প্রধান মৌসুম- ঈদুল আযহা। এক দশক আগেও যেখানে একটি গরুর চামড়া আকারভেদে ১২শ’ থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হতো, সেই চামড়া এখন ৩শ’ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে না।
এ বছর ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৪৭ থেকে ৫২ টাকা, ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা এবং খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ঢাকায় ১৮ থেকে ২০ টাকায় নির্ধারণ করে সরকার। তাতে একটি মাঝারি গরুর চামড়ার দাম হবার কথা কমপক্ষে এক হাজার টাকা।
মৌসুমী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ন্যায্য দাম তো দূরের কথা, এবার সরকার নির্ধারিত দামের অর্ধেকও পাচ্ছেন না তারা।
অভিযোগ অস্বীকার করে হাইড এন্ড স্কিন মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের নেতারা বলছেন, সরকার শুধু লবনযুক্ত চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করায় বিভ্রান্তিতে পড়েছে খুচরা ব্যবসায়ীরা। বাজারে চামড়ার বাড়তি মজুদ থাকায় লবন সংকট নিয়েও সংশয় জানান তারা।
এদিকে চামড়ার বাজার মনিটরিংয়ে মাঠে নেমেছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর।
চট্টগ্রামে তিন বছর লোকশান গুণতে গুণতে এবার বাজারেই আসেনি মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।
তাই সংগ্রহের ব্যাপক প্রস্তুতি থাকলেও লক্ষ্যমাত্রার ধারে কাছেও যেতে পারেনি আড়ৎদাররা। তবে সংকট মোকাবিলায় এবার মাঠে নেমেছে গাউছিয়া কমিটি। নিজেদের কর্মীবাহিনী দিয়ে কোরবানীর প্রথম দিন লক্ষাধিক চামড়া সংগ্রহ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় লবন দিয়েছে তারা। সংগঠনটির দাবি- চামড়া বাজারের সিন্ডিকেট ভাংতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে তারা।
চট্টগ্রামের মুরাদপুর থেকে বিবিরহাট পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা নিয়ে বসে কাঁচা চামড়ার বাজার। মৌসুমী ব্যবসায়ী আর ফড়িয়ারা এখানকার শতাধিক আড়ৎদারের কাছে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসেন কোরবানীর পশুর চামড়া। কিন্তু এবার এই বাজার অনেকটাই ফাঁকা। কারণ, গত ক’বছর ধরে বার বার লোকশান গুনতে গুনতে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বিক্রেতারা।তবে আড়ৎদাররা বলছেন, গ্রামে গ্রামে তাদের প্রতিনিধিরা চামড়া সংগ্রহের পর লবন দেয়ার কাজ করছে। তাই বাজারে চামড়ার উপস্থিতি কম মনে হলেও সামনে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পুরণে সমস্যা হবে না।
ব্যবসায়ীদের গুদামগুলো চামড়া সংকটে ভুগলেও মুরাদপুর সুন্নিয়া মাদ্রাসা মাঠের চিত্র আলাদা। ট্রাকে ট্রাকে আসছে হাজার হাজার চামড়া। নিজস্ব কর্মীদের মাধ্যমে নগরীর বাড়ি বাড়ি থেকে চামড়া সংগ্রহ করে লবনজাত করছে তারা। মহানগর ছাড়াও উত্তর ও দক্ষিণ জেলার বিভিন্ন মাদ্রাসায়ও চামড়া সংগ্রহ ও লবনজাত করার উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছে গাওছিয়া কমিটি।এবারের ঈদে চট্টগ্রামে চার লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে আড়ৎদার সমিতি। কিন্তু কোরবানীর দিনে একলাখ পিস চামড়াও আসেনি আড়তগুলোতে। আর এক লাখ পিচ চামড়া সংগ্রহের কথা জানিয়েছে গাউছিয়া কমিটি