কুমিল্লা, হবিগঞ্জ, যশোর ও মাদারীপুরের বিভিন্ন এলাকায় চলছে লকডাউন।

গেলরাত ১২টা থেকে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ৪টি ওয়ার্ডে লকডাউন শুরু হয়েছে। নগরীর ৩, ১০, ১২ ও ১৩ নং ওয়ার্ডে এই লকডাউন চলবে আগামী ৩ জুলাই পর্যন্ত। জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই লকডাউন চলছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন রেডজোন হওয়ায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত ৪টি ওয়ার্ডকে লকডাউনের আওতায় আনা হলো। চারটি ওয়ার্ডে প্রশাসন, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীদের সমন্বয়ে বিশেষ দল লকডাউন পালনে সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করছে।

হবিগঞ্জ পৌরসভার দুটি ওয়ার্ড, মাধবপুর ও চুনারুঘাট পৌরসভা এবং ৩টি ইউনিয়নসহ ৯টি এলাকাকে রেড জোন ঘোষনা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বৃহস্পতিবার রাতে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মুখলিছুর রহমান উজ্জল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। রেড জোনের মধ্যে রয়েছে, হবিগঞ্জ পৌরসভার ৬ ও ৯ নং ওয়ার্ড, চুনারুঘাট পৌরসভা এবং ঐ উপজেলার দেওরগাছ, উবাহাটা ও রানীগাও ইউনিয়ন। এছাড়া মাধবপুর পৌরসভা, আজমিরীগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলা সদরও রয়েছে।

যশোরের ১১টি পৌরসভা ও ২টি উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ১৭টি রেডজোনে চতুর্থ দিনের মতো চলছে লকডাউন। তবে লকডাউন ভেঙে মানুষ চলাচল করছে। অধিকাংশ মানুষকে মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা গেলেও সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। এসব এলকায় গত ৩ দিনের তুলনায় আজ থেকে লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসনের তৎপরতা বেড়েছে।

মাদারীপুরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বাড়তে থাকায় জেলার ৪ পৌরসভার ২১টি ওয়ার্ড ও ২২টি ইউনিয়ন রেডজোন ঘোষণা দিয়ে বুধবার গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ওয়াহিদুল ইসলাম। একই সঙ্গে আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানাসহ কঠোর হুশিয়ারি দেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে এসব রেডজোনে লকডাউন শুরু হয়েছে।