কুমিল্লায় ৬ জনসহ মাদারীপুর, ফেনী ও সাতক্ষীরায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

কুমিল্লায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ৬ জন মারা গেছে। এদের মধ্যে ৪জন পুরুষ ও ২জন মহিলা। মৃত ব্যক্তিরা হলেন, কুমিল্লার রাহেলা বেগম, মোস্তফা, নাছিমা বেগম, ফরিদ উদ্দিন, মোসলেম মিয়া এবং চাঁদপুরের মোতাহের হোসেন।
আজ সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারি সার্জন ডা. মুক্তা রানি জানান, মৃত ৬ জনই জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি ছিলেন।

মাদারীপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু

মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুর শহরের দরগাখোলা কালিবাড়ি (রকেট বিড়ি) এলাকার শ্যামাপদ শীল (৭০) করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে ১৬ জনের মৃত্যু হলো।

জানা গেছে, শ্যামাপদ শীল কয়েক দিন ধরে জ¦র সর্দি ও শ^াসকষ্ট সমস্যায় ভুগছিল। গতরাতে তিনি নিজ বাড়িতে মারা যান। স্বাস্থ্য বিভাগ তার নমুনা সংগ্রহ করেছে। সকালে শ্মশান কমিটির তত্বাবধানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার সৎকার করা হয়েছে।

মাদারীপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ইকরাম হোসেন বলেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে একজন তার নিজ বাড়িতে মারা গেছে। মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

ফেনীর ছাগলনাইয়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে পেয়ারা বেগম (৫০) নামে এক নারী মৃত্যুবরণ করেছেন।ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। তিনি পৌরসভার উত্তর মটুয়া গ্রামের কোনা ভূঞা বাড়ির মৃত আবুল কালামের স্ত্রী।স্বজনরা জানান, পেয়ারা বেগম ২৬ জুন শুক্রবার রাতে জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করােনার বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। একপর্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার শারীরিক অবস্থা আরো অবনতি হলে শনিবার বিকেলে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।পরে বিশেষ ব্যবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজের জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন দেয়া হয়

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় নমুনা দেওয়ার একদিন
পর করোনা উপসর্গ নিয়ে গ্রাম্য চিকিৎসকের মৃত্যু
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় নমুনা দেওয়ার এক দিন পর জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে জি. এম ওমর ফারুক (৬০) নামের এক গ্রাম্য চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে । তিনি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের মারকা-কুকোডাঙ্গা গ্রামের বাহারউদ্দিন সরদারের ছেলে । মৃত্যু ওমর ফারুক ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়াডের সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন।
শনিবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তিনি মারা যান।
রাতে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেখ তৈবুর রহমান জানান, ওমর ফারুকের সর্দি, কাশি, জ্বর, গলা ব্যথাসহ সব ধরনের উপসর্গ ছিল। শুক্রবার (২৬ জুন) সকালে তিনি নমুনা পরীক্ষার জন্য আসলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
ডা. শেখ তৈবুর রহমান আরও জানান,কিন্তু তিনি ভর্তি হতে চাননি। এরপর শনিবার (২৭ জুন) সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়। কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হুসেন জানান, করোনা উপসর্গ মৃত্যূ হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার লাশ দাফন করতে বলা হবে । তার বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে ।  এনিয়ে সাতক্ষীরা জেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ।
শাহীন গোলদার,সাতক্ষীরা।