কাল পর্দা নামছে ফেডারেশন কাপের ৩২তম আসরের। ফাইনালে মুখোমুখি দুই হেভিওয়েট– বসুন্ধরা কিংস ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। দেশের ফুটবলকে সাম্প্রতিককালে শাসন করছে বসুন্ধরা। জিতেছে সবশেষ লিগ আর ফেডারেশন কাপ শিরোপা। এবার টানা দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের মিশন দলটির। অন্যদিকে, দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আসরে আলাদা নজর কেড়েছে সাইফ। তৈরী প্রথমবার শিরোপা উৎসব করতে। বিকেল ৪টায় মাঠে গড়াবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ।

প্রায় পাঁচ বছর আগে বোনা স্বপ্ন থেকে আর মাত্র এক সিঁড়ি দূরত্বে। সাফল্যের মশাল হাতে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। প্রথমবার কোনো ঘরোয়া টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলার অপেক্ষায় ইয়োলা আর্মিরা।

৭ কোচ পরিবর্তন আর একই ফুটবলার নিয়ে প্রায় ৪ বছরের যাত্রায় বিগত আসর গুলোতে যা হয়নি হঠাৎ তাদের নিয়েই শিরোপার লড়াইয়ে সাইফ। কীভাবে সম্ভব?। শুধু কি বেলজিয়ান কোচ পল পুটের যাদুর ছড়ি? না-কি তরুণ ফুটবলারদের পরিণত হয়ে ওঠা। সে যাই হোক ফুটবলাররা তৃপ্ত কোচে, আর কোচের আস্থার পুরোটা তরুণদের ঘিরে। ইতিহাসের সাক্ষী হওয়াটাই মূল লক্ষ্য সাইফের।

(বসুন্ধরা ভালো দল এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে, দুদলের পার্থক্যে আমি কাউকে পিছিয়ে রাখবো না। আমিও আমার দল নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী। আশা করি উপভোগ্য একটা ম্যাচ হবে।)

দু’দলের শক্তির বিচারে বসুন্ধরাকে এগিয়ে রাখছেন সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক রিয়াদুল হাসান রাফি। তাই চাপ নয় বরং ফাইনালটা উপভোগ করতে চান।

সম্পতি দেশের ক্লাব ফুটবলকে যেন রীতিমতো শাসন করছে বসুন্ধরা কিংস। সবশেষ লিগ আর ফেডারেশন কাপের শিরোপা জিতেছে, সাইফের মতো অপরাজিত থেকে চলতি মৌসুমেও অপ্রতিরোধ্য ওরা। প্রতিপক্ষকে শক্তিশালী মানলেও, ফাইনালে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দিতে নারাজ বসুন্ধরা কিংস।

( সাইফ শক্তিশালী একটা দল। বল হারালে তারা দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে পারে। নিজেদের প্রতিও আমাদের যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস আছে। তবে,নিজেদের ফেভারিট মনে করা ঠিক হবে না। আমাদের সতর্ক হতে হবে। কেননা, আমরা ইতিবাচক ফুটবল খেলা একটি দলের বিপক্ষে খেলব।

মৌসুমে দু’দলের দাপুটে পারফরম্যান্স আভাস দিচ্ছে জমাট লড়াইয়ের। এখন দেখার অপেক্ষায় টানা দ্বিতীয়বার বসুন্ধরা নাকি প্রথমবারের মতো শিরোপা উৎসব করে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব।