সাবেক মন্ত্রী ও দেশবরেণ্য আইনজীবী এবং এসএ গ্রুপের প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান আর নেই। শনিবার ভোর ৫টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান নোয়াখালীর এই কৃতী সন্তান। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে এসএ পরিবহন, এসএ টিভি ও এসএ গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কর্মের মাঝে বেঁচে থাকবেন মাহবুবুর রহমান। তবে তার শূন্যতা পুরণ হবার নয়। বাদ আসর বারিধারা মসজিদে জানাযা শেষে বনানী কবরস্থানে স্ত্রীর কবরেই তাকে দাফন করা হয়। দাফন শেষে তার রূহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করেন উপস্থিত সকলেই

যাকে নিয়ে শোকের এই মাতম, তিনি যেন প্রশান্তির ঘুমে আচ্ছন্ন, ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনে সাফল্যের চূড়ায় থেকে চলে যাবার তৃপ্তি নিয়েই যেন ঘুমিয়ে আছেন দেশের বরেণ্য আইনজীবী ও সাবেক মন্ত্রী মাহবুবুর রহমান।কয়েক দশক ধরে মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে কাজ করা সহকর্মীরা জানান তাদের অনুভূতি।

ভোর ৫ টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় বারিধারার ফিরোজা ম্যানশনে শুরু হয় কোরআন খতম। চারদিকে শোকাবহ এক পরিবেশ। ১৯৪০ সালের ৫ জানুয়ারি। নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে জন্ম নেন সাবেক মন্ত্রী ও দেশের বরেণ্য আইনজীবী মাহবুবুর রহমান। তিনি ছিলেন, সেনাবাহিনীর সাবেক এই প্রধানের আইনি উপদেষ্টা। সেনাশাসিত এরশাদ সরকারের সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়, শিক্ষা ও তথ্য মন্ত্রণালয়, ধর্ম ও সাংস্কৃতিক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমেদ আরো জানান, শুধু পেশাদারি সম্পর্ক নয়, তাঁর সঙ্গে এসএ গ্রুপের ছিল আত্মিক সম্পর্ক। এই মানুষটির চলে যাওয়ায় যে শূন্যতা, তা পূরণ হবার নয়। সিংক : সালাহউদ্দিন আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এসএ টিভি ও এসএ গ্রুপ অব কোম্পানিজ। মাহবুবুর রহমানের কর্মই আগামী প্রজন্মের আইনজীবীদের জন্য অনুকরনীয় হয়ে থাকবে বলে মত দেন তাঁর স্নেহ ধন্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।