করোনা উপসর্গ নিয়ে ফেনী, মেহেরপুর, মানিকগঞ্জ, নড়াইল, ঠাকুরগাঁও, মৌলভীবাজার, কুড়িগ্রাম ও মাদারীপুরে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গেল রাতে দাউদুল ইসলাম সবুজ নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ওই যুবক ৮ দিন আগে চট্টগ্রাম থেকে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বাড়ীতে ফেরেন।

মেহেরপুরে করোনা উপসর্গে লিটু মিয়া নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সকাল ১০টায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সে মেহেরপুর সদরের আমঝুপি ইউনিয়নের কোলা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: রফিকুল ইসলাম জানান, লিটু মিয়ার জ্বর, সর্দিসহ করোনা উপসর্গ ছিল।

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় করোনা উপসর্গে এক মুদি দোকানির মৃত্যু হয়েছে। সকালে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মাকড়াইল গ্রামে ঠান্ডা, কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টের মতো করোনা উপসর্গে রেজাউল মোল্যা নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গেলরাত ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মাকড়াইল গ্রামের হাবিবুর মোল্যার ছেলে রেজাউল মোল্যা অসুস্থতা নিয়ে ক’দিন আগে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসে।

ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা উপসর্গ নিয়ে আব্দুল জলিল নামে একজনের হাসপাতালের মৃত্যু হয়েছে। আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া জলিল দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের উজিরপুর গ্রামের ৬০ বছর বয়সী বাবুল মিয়া নামে এক ব্যক্তি করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় তিনি নিজ বাড়িতে মারা যাওয়ার পর তার নমুনা সংগ্রহ করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

কুড়িগ্রামে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে রফিকুল ইসলাম রঞ্জু নামে এক প্রভাষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি কুড়িগ্রাম আলিয়া কামিল মাদ্রাসার ইংরেজি বিভাগে সহকারি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। করোনা উপসর্গ নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এদিকে, করোনা উপসর্গ নিয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ভর্তি থাকা এক মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি গত বুধবার সন্ধ্যায় করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।