০৬:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪

করোনাকালের বাজেটকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:১৪:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০২০
  • / ১৫০৩ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

করোনা মাহামারির এই সময়ে বাজেটকে একটু বেশিই তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য খাতকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি বাঁচিয়ে রাখতে হবে সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থানের পথগুলোকেও। তাই হাসপাতালের আইসিইউ বা ভেন্টিলেটরের চেয়ে কল-কারখানার চাকাকে কোন অংশেই কম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন না ব্যবসায়ী নেতারা। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনাকালের শিক্ষা নিয়ে নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে সবকিছু। আর তা করতে হলে প্রশাসনিক উদ্যোগের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতাও জরুরী।

বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে টানা দু’মাসের লকডাউনে বিপর্যস্ত অর্থনীতি। আগামীতে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সব সেক্টরই প্রণোদনাসহ নানা দাবি-দাওয়া তুলে ধরেছে সরকারের কাছে। আর প্রধান রপ্তানীমুখী শিল্প- গার্মেন্টস মালিকরা তো সাফ জানিয়েই দিয়েছেন, ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে না পারলে আগামী মাস থেকেই ধাপে ধাপে ছাঁটাই হয়ে যাবে ১০ লাখ শ্রমিক।

এমনই এক চ্যালেঞ্জিং সময়ে ঘোষিত হতে চলেছে ২০২০-২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট। ৮ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে আসছে বাজেটের সম্ভাব্য আকার হবে সাড়ে ৫ লাখ কোটি টাকারও বেশি। যা চলতি বছরের চেয়ে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা বেশি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষার পাশাপাশি কর্মস্থলের নিরাপত্তাও চায় সাধারণ মানুষ। তাই এই বাজেটে সরকারকে হতে হবে অনেক বেশী কৌশলী।

ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, বিশ্বকে আগের জায়গায় ফিরে আসতে সময় লাগবে অনেক। তাই আমদানী নির্ভরতা কমিয়ে এসএমই খাতকে সমৃদ্ধ করতে দেশীয় বিনিয়োগে উৎসাহ বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে। আর তা শুরু করার এখনই সময়।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এবারের পরিস্থিতি অন্যবারের চেয়ে আলাদা। তাই এই বাজেট বাস্তবায়নে প্রশাসনের পাশাপাশি সব রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনকেও আস্থায় নিতে হবে সরকারকে।

দেশে চলমান মেগা প্রকল্পগুলো এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে ঘোষণা করা প্রণোদনা পরিশোধের তাগিদও আছে আগামী বাজেটে। সেই সঙ্গে আগের মতো রাজস্ব আদায়ও যে এবার হবে না, তাও অনেকটা নিশ্চিত। তাই প্রকল্পগুলোর অপচয় রোধের পাশাপাশি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেয়ার সুস্পষ্ট রূপরেখাও থাকতে হবে বাজেটে। এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

করোনাকালের বাজেটকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা

আপডেট সময় : ০২:১৪:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০২০

করোনা মাহামারির এই সময়ে বাজেটকে একটু বেশিই তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য খাতকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি বাঁচিয়ে রাখতে হবে সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থানের পথগুলোকেও। তাই হাসপাতালের আইসিইউ বা ভেন্টিলেটরের চেয়ে কল-কারখানার চাকাকে কোন অংশেই কম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন না ব্যবসায়ী নেতারা। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনাকালের শিক্ষা নিয়ে নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে সবকিছু। আর তা করতে হলে প্রশাসনিক উদ্যোগের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতাও জরুরী।

বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে টানা দু’মাসের লকডাউনে বিপর্যস্ত অর্থনীতি। আগামীতে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সব সেক্টরই প্রণোদনাসহ নানা দাবি-দাওয়া তুলে ধরেছে সরকারের কাছে। আর প্রধান রপ্তানীমুখী শিল্প- গার্মেন্টস মালিকরা তো সাফ জানিয়েই দিয়েছেন, ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে না পারলে আগামী মাস থেকেই ধাপে ধাপে ছাঁটাই হয়ে যাবে ১০ লাখ শ্রমিক।

এমনই এক চ্যালেঞ্জিং সময়ে ঘোষিত হতে চলেছে ২০২০-২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট। ৮ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে আসছে বাজেটের সম্ভাব্য আকার হবে সাড়ে ৫ লাখ কোটি টাকারও বেশি। যা চলতি বছরের চেয়ে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা বেশি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষার পাশাপাশি কর্মস্থলের নিরাপত্তাও চায় সাধারণ মানুষ। তাই এই বাজেটে সরকারকে হতে হবে অনেক বেশী কৌশলী।

ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, বিশ্বকে আগের জায়গায় ফিরে আসতে সময় লাগবে অনেক। তাই আমদানী নির্ভরতা কমিয়ে এসএমই খাতকে সমৃদ্ধ করতে দেশীয় বিনিয়োগে উৎসাহ বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে। আর তা শুরু করার এখনই সময়।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এবারের পরিস্থিতি অন্যবারের চেয়ে আলাদা। তাই এই বাজেট বাস্তবায়নে প্রশাসনের পাশাপাশি সব রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনকেও আস্থায় নিতে হবে সরকারকে।

দেশে চলমান মেগা প্রকল্পগুলো এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে ঘোষণা করা প্রণোদনা পরিশোধের তাগিদও আছে আগামী বাজেটে। সেই সঙ্গে আগের মতো রাজস্ব আদায়ও যে এবার হবে না, তাও অনেকটা নিশ্চিত। তাই প্রকল্পগুলোর অপচয় রোধের পাশাপাশি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেয়ার সুস্পষ্ট রূপরেখাও থাকতে হবে বাজেটে। এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।