প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় এই প্রথম জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য আশ্রয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কক্সবাজারে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং আধুনিক আশ্রয়ন প্রকল্প তৈরীর কাজ শেষ। বৃহস্পতিবার ৬০০ উদ্বাস্তু পরিবারকে আশ্রয় দেয়ার এই স্বপ্নের প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন স্বাপ্নিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবমিলিয়ে ৪ হাজার ৪শ ৯টি ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হবে। যাযাবর জীবনের দীর্ঘ ২৯ বছর পর স্থায়ী ঠিকানা পাওয়ার আনন্দে ভাসছেন জলবায়ু উদ্বাস্তুরা।

১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল রাতে ঘুর্ণিঝড় “হেরিক্যান” এর আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় কক্সবাজারসহ পুরো চট্টগ্রাম উপকূল। দেড় লক্ষেরও বেশি মানুষের জীবন কেড়ে নেয়া সাইক্লোনটির পর এখনো মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারেনি স্বজন আর সহায়হারা মানুষগুলো। কোনমতে মাথা গুঁজে আছে কক্সবাজার শহরে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে। ২৯ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় স্থায়ী ঠিকানা পাচ্ছে এসব জলবায়ু উদ্বাস্ত। আশায় বুক বাঁধছে তারা। ১৩৭টি ভবনে মোট ৪ হাজার ৪শো নয়টি পরিবারকে বুঝিয়ে দেয়া হবে অত্যাধুনিক সুবিধাসম্পন্ন ফ্ল্যাট। প্রথম ধাপেই পাবে ৬০০ পরিবার।

কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র জানান, খুরুষ্কুল আশ্রয়ন প্রকল্পের বহুতল ভবনে ফ্ল্যাট বাড়ি ছাড়াও স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল এবং বিনোদনের জন্য খেলার মাঠসহ সব সুবিধা। তাদের উপার্জনের ব্যবস্থা করারও আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।২০১৭ সাল থেকে প্রকল্পটির কাজ শুরু করে সেনাবাহিনী। উদ্বোধন উপলক্ষ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কন্ফারেন্সের মাধ্যমে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য নির্মিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই আশ্রয়ন প্রকল্পটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।