১০:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার নেপথ্য কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশন হবে : আইনমন্ত্রী

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৩:০৪:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ অগাস্ট ২০২২
  • / ১৫০৭ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২১ আগস্ট, গ্রেনেড হামলার নেপথ্য কুশীলবদের চিহ্নিত করতে শক্তিশালী কমিশন করা হবে। এরইমধ্যে খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। তবে কবে নাগাদ কমিশন কাজ শুরু করবে তা নির্ভর করছে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের উপর। এমনটাই জানালেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পেপার বুক তৈরী হওয়ার দ্রুত মামলার শুনানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, হাইকোর্টের অবকাশকালীন ছুটির পরই আলোচিত এই মামলার বেঞ্চ গঠনসহ শুনানি শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। শেখ হাসিনার বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে উপুর্যপুরি গ্রেনেডের হামলায় প্রকম্পিত হয়ে উঠে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউ।

জঙ্গীদের ত্রিমুখী হামলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ ২৪ জন নিহত হন। এর মধ্যে রয়েছেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমান। আহত হন শেখ হাসিনাসহ কয়েকশ’ নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ।

শুরুতেই জজ মিয়া নাটকের কারণে হোঁচট খায় আলোচিত এই মামলার তদন্ত কাজ।

তবে বিচার শেষ ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর এই মামলার রায় ঘোষণা করে আদালত। রায়ে ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৯ জনকে দেয়া হয় যাবজ্জীবন সাজা। অপর ১১ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থ দণ্ড দেয়া হয়।

এদের মধ্যে লুৎফুজ্জামান বাবর এবং আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ৩১ জন বর্তমানে কারাগারে আছেন। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৮ জনকে মামলার নথিতে পলাতক দেখানো হয়েছে। যদিও এরই মাঝে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু খবর প্রকাশিত হয় গণমাধ্যমে।

তবে জামাত নেতা মুজাহিদ, হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ বাকি তিন আসামী অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায়, গ্রেনেড হামলা মামলা থেকে তাদের বাদ দেয়া হয়েছে।

এরপর আসামীদের জেল আপিল ও মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের শুনানির জন্য রায়সহ ৩৭ হাজার ৩৮৫ পৃষ্ঠার নথিপত্র পৌঁছেছে হাইকোর্ট।

এর মাঝে দাবি উঠে ২১ আগস্টের নেপথ্য খলনায়কদের চিহ্নিত করার।

ভুক্তভোগী এবং জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ওই হামলার পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিত করতে কমিশনের খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী।

আনিসুল হক আরো বলেন, মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য উদ্যোগ নিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।

ডেথ রেফারেন্সের শুনানিতে অপরাধীদের দেয়া দণ্ড যেনো বহাল থাকে সেই যুক্তিও তুলে ধরা হবে বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেলএ এম আমিন উদ্দিন।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার নেপথ্য কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশন হবে : আইনমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৩:০৪:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ অগাস্ট ২০২২

২১ আগস্ট, গ্রেনেড হামলার নেপথ্য কুশীলবদের চিহ্নিত করতে শক্তিশালী কমিশন করা হবে। এরইমধ্যে খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। তবে কবে নাগাদ কমিশন কাজ শুরু করবে তা নির্ভর করছে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের উপর। এমনটাই জানালেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পেপার বুক তৈরী হওয়ার দ্রুত মামলার শুনানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, হাইকোর্টের অবকাশকালীন ছুটির পরই আলোচিত এই মামলার বেঞ্চ গঠনসহ শুনানি শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। শেখ হাসিনার বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে উপুর্যপুরি গ্রেনেডের হামলায় প্রকম্পিত হয়ে উঠে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউ।

জঙ্গীদের ত্রিমুখী হামলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ ২৪ জন নিহত হন। এর মধ্যে রয়েছেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমান। আহত হন শেখ হাসিনাসহ কয়েকশ’ নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ।

শুরুতেই জজ মিয়া নাটকের কারণে হোঁচট খায় আলোচিত এই মামলার তদন্ত কাজ।

তবে বিচার শেষ ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর এই মামলার রায় ঘোষণা করে আদালত। রায়ে ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৯ জনকে দেয়া হয় যাবজ্জীবন সাজা। অপর ১১ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থ দণ্ড দেয়া হয়।

এদের মধ্যে লুৎফুজ্জামান বাবর এবং আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ৩১ জন বর্তমানে কারাগারে আছেন। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৮ জনকে মামলার নথিতে পলাতক দেখানো হয়েছে। যদিও এরই মাঝে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু খবর প্রকাশিত হয় গণমাধ্যমে।

তবে জামাত নেতা মুজাহিদ, হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ বাকি তিন আসামী অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায়, গ্রেনেড হামলা মামলা থেকে তাদের বাদ দেয়া হয়েছে।

এরপর আসামীদের জেল আপিল ও মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের শুনানির জন্য রায়সহ ৩৭ হাজার ৩৮৫ পৃষ্ঠার নথিপত্র পৌঁছেছে হাইকোর্ট।

এর মাঝে দাবি উঠে ২১ আগস্টের নেপথ্য খলনায়কদের চিহ্নিত করার।

ভুক্তভোগী এবং জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ওই হামলার পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিত করতে কমিশনের খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী।

আনিসুল হক আরো বলেন, মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য উদ্যোগ নিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।

ডেথ রেফারেন্সের শুনানিতে অপরাধীদের দেয়া দণ্ড যেনো বহাল থাকে সেই যুক্তিও তুলে ধরা হবে বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেলএ এম আমিন উদ্দিন।