উৎসব ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ-উল-আজহা
- আপডেট সময় : ০১:৪৯:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ জুলাই ২০২২
- / ১৫৬৪ বার পড়া হয়েছে
উৎসব ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ-উল-আজহা।
ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দ্যেশে পশু কোরবানি করছেন সামর্থ্যবান মুসলমানরা।
চট্টগ্রামে সকাল পৌনে ৮টায় নগরের জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ইমামতি করেন আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী।
বরিশালে হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রিয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাতে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ, বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন-উল আহসান এবং জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার, প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্মকর্তাসহ কয়েক হাজার মানুষ নামাজ আদায় করেন।
রংপুরে সকাল ৮টায় প্রধান জামাত হয় কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে। রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব ভূঞা, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটু, প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মুসল্লীরা অংশ নেন।
রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম কেন্দ্রীয় ঈদগায় সকাল ৮টায় নামাজ আদায় করেন বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ অনেকেই। আর মারকাজ মসজিদে নামাজ পড়েন রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
ময়মনসিংহে কেন্দ্রীয় আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠের প্রধান জামাতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস, জেলা প্রশাসক এনামুল হকসহ বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা অংশ নেন।
খুলনায় ঈদুল আযহার প্রধান জামাত সকাল আটটায় খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডে সিটি কর্পোরেশনের সহায়তায় ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে পৃথকভাবে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর বন্ধ থাকার পর এবার কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহে ঈদুল আজহার ১৯৫তম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
করোনা থেকে মুক্তির মোনাজাতের মধ্যদিয়ে মানিকগঞ্জে ঈদের জামাতে অংশ নেন ৫ সহশ্রাধিক মুসল্লি। সেখানে নারীদের জন্যও আলাদা জামাতের ব্যবস্থা রাখা হয়।
সকাল ৭টায় গোপালগঞ্জে পৌর ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত প্রধান জামাতে ইমামতি করেন কেন্দ্রীয় কোর্ট মসজিদের ইমাম মাওলানা শেখ হাফিজুর রহমান।
নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাতে জেলা প্রশাসক, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ সাধারণ মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহী ষাটগুম্বুজ মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত হয় সকাল সাড়ে ৭টায়।
চাঁদপুর পৌর ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে সাতটায় জেলার প্রধান জামাতে ইমামতি করেন মুফতি সাজ্জদ হোসেন।
মাদারীপুরে দেড়’শ বছর পুরনো পৌর ঈদগাহ মাঠে জেলার প্রধান জামাতে অংশ নেন আওয়ামী লীগের মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদসহ অনেকে।
এছাড়াও- বরগুনা, নাটোর, পটুয়াখালী, কুষ্টিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পাবনা, মেহেরপুর, সাতক্ষীরাসহ ও খাগড়াছড়িতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা উদযাপিত হয়েছে।
দিকে পশু কোরবানির মাধ্যমে নিজের পশুত্ব, ক্ষুদ্রতা, স্বার্থপরতা, হীনতা ও অহংকারের কোরবানি করাই ঈদুল আজহার আসল উদ্দেশ্য বলে অভিহিত করেছেন ইসলামি চিন্তাবিদরা। তারা বলেছেন, এই ত্যাগই বয়ে আনবে কল্যাণ ও ভ্রাতৃত্ববোধ।
মুসলিম উম্মাহর জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.) কে কুরবানি দেয়ার ইতিহাস থেকে শুরু হয় মুসলিম জাতির পশু কুরবানির ইবাদত।
শরীয়তের পরিভাষায়- নির্দিষ্ট জন্তুকে একমাত্র আল্লাহ পাকের নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট দিনে নির্ধারিত নিয়মে মহান আল্লাহর নামে জবেহ ও বন্টন করাই হলো কুরবানি।
ইসলামি বিশেষজ্ঞরা জানান, ত্যাগের মহিমায় কুরবানি আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের এক অনুপম ইবাদত। কোরবানির পশুর মাংস নিজে খাওয়ার পাশাপাশি গরীব-দুঃখীদের মাঝে বিলিয়ে মহান আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের এক বিরাট সুযোগ।মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ঈদুল আজহার দিন পশু কুরবানির চাইতে আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় আর কোন আমল নেই। তাই, যুগ যুগ ধরে মুসলিম উম্মাহর কাছে কুরবানি হয়ে আছে আত্মশুদ্ধি, ত্যাগ, সমতা ও আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের প্রতীক।