উত্তাল সমুদ্রকে বাঁধ দিয়ে তৈরী করা হয়েছে ব্রেকওয়াটারসহ দীর্ঘ ১৩ কিলোমিটার লম্বা চ্যানেল
- আপডেট সময় : ১১:৪৪:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২০
- / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
মহেশখালীর মাতারবাড়িতে উত্তাল সমুদ্রকে বাঁধ দিয়ে তৈরী করা হয়েছে ব্রেকওয়াটারসহ দীর্ঘ ১৩ কিলোমিটার লম্বা চ্যানেল। এখানেই গড়ে উঠবে বৃহত্তম বন্দর। বড় এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে এখন সেখানে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০৪৩ সালের মাস্টারপ্লান বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন এই বন্দরের বিকল্প নেই। আর নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলছেন, শুধু বিদুৎকেন্দ্র আর বন্দরই নয়, মাতারবাড়িকে ঘিরে গড়ে তোলা হবে পরিকল্পিত শিল্পনগরী।
দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামের জেটিতে গভীরতা মাত্র সাড়ে ৯ মিটার। তাই আড়াই হাজারের বেশি কন্টেইনার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন মাদার ভেসেলকে পণ্য খালাস করতে হয় বহিনোঙ্গরে। এতে খরচ আর সময় বেশি লাগায়, গভীর চ্যানেল তৈরীর দাবি দীর্ঘদিনের। বন্দর ব্যবহারকারীদের সেই স্বপ্ন পুরণ হতে চলেছে মাতারবাড়িতে। ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ থামাতে করা হয়েছে ১৬ মিটার গভীরতার সাড়ে তিনশো মিটার প্রস্থের ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ চ্যানেল। আর এখানেই আলাদা দুটি জেটির মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে বেসিন বানিয়ে ইয়ার্ডসহ ২টি কন্টেইনার আর মাল্টিপারপাস টার্মিনাল বানাতে চায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশাপাশি নতুন এই বন্দরের স্বপ্ন পুরণে কাজ চলছে পুরোদমে। বন্দর চেয়ারম্যানের দাবি, ২০৪৩ সালের মাস্টারপ্লানকে বাস্তবে রূপ দিতে এই বন্দরের বিকল্প নেই। বিশাল এই কর্মযজ্ঞ দেখতে আসেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি জানান, শুধু বিদুৎ কেন্দ্র আর বন্দরেই সীমাবদ্ধ না থেকে, অবহেলিত মাতারবাড়িকে ঘিরে পরিকল্পিত শিল্পনগরী গড়ে তোলা হবে। নতুন এই বন্দর নির্মানে সম্ভ্যাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা; যা বাস্তবায়নে জাপানের জাইকার সঙ্গে দুই হাজার ৬ শো মিলিয়ন ইয়েন ঋণ চুক্তিও চুড়ান্ত হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৪ সালেই জাহাজ ভিড়বে মাতারবাড়ি চ্যানেলে।