উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে মাদারীপুর ও ফরিদপুরে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি
- আপডেট সময় : ০৯:০৬:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫০৭ বার পড়া হয়েছে
উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বাড়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে, চর ও নিম্নাঞ্চলের হাজারো মানুষ পানিবন্দী হবার পাশাপাশি কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে নদীভাঙ্গন।
ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে ফেনীর মুহুরী নদীর বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। প্লাবিত হয়েছে অন্তত ৪টি গ্রাম।
উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বুধবার রাতে পাহাড়ি ঢল ও উজানের পানির চাপে মুহুরী নদীর ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের জয়পুর অংশের একটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি, গ্রামীন সড়ক পুকুর ও বসত বাড়ী।
ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেড়েছে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, দুধকুমারসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানিও। এতে নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত সবগুলো নদ-নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে শুরু হয়েছে ভাঙ্গন।
উজানের ঢল ও ভারি বর্ষণের ফলে টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে অভ্যন্তরীণ ধলেশ্বরী, লৌহজং, বংশাই ও ঝিনাই নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে।
মাদারীপুরে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভিটে মাটি, জমি হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ভাঙ্গন কবলিতরা।
ফরিদপুরে প্রতিদিনই কমছে পদ্মার পানি। গত ২৪ ঘন্টায় গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার কমে তা এখন বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন।
পদ্মা নদীতে পানি কমতে শুরু করলেও কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার চিলমারিসহ চার ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। টানা বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে সৃষ্ট বন্যায় ওই চার ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় গোয়ালন্দ পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। পানি কমতে শুরু করলেও দুর্ভোগ এখনো কমেনি।
দুই দিন স্থিতিশীল থাকার পর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছ। পাবনায় ও সিরাজগঞ্জের অনেকের এলাকার বসতবাড়ি, রাস্তা-ঘাট ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।