ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যস্ততা বেড়েছে জামালপুরের কামারপাড়ায়
- আপডেট সময় : ০৪:৪০:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জুলাই ২০২২
- / ১৫৭৬ বার পড়া হয়েছে
কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে জামালপুরের কামার শিল্পীদের। দা,বটি, ছুরির অনেক চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে কামার শিল্পিদের
ব্যস্ততা। সারা বছর অলস সময় কাটালেও ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যস্ততা বেড়েছে ঝালকাঠির কামার পাড়ায়। কাকডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে দা বটির টুং টাং। তৈরি হচ্ছে দা,বটি, ছুরি ও চাপাতি। তবে কোন রকমে টিকে আছে দিনাজপুরে একমাত্র কামার পল্লী শহরের বালুবাড়ী কামার পল্লী এলাকা। ঈদকে ঘিরে বেড়েছে ব্যস্ততা।
কামার শিল্পের সাথে জড়িত এবং ছুরি ও চাপাতি শান (ধার) দেয়ার শব্দ
ঈদের দিন গরু কাটতে প্রয়োজনীয় জিনিষের তালিকায় আছে ছুরি, বটি, কোপা নানা ধরনের পণ্য। সব জেলায় জেলায় এখন ব্যস্ত সময় কামারদের।
জামালপুরে সবমিলিয়ে ২০ হাজারের বেশী কামার শিল্পীর এখন দম ফেলার ফুসরত নেই। দা,বটির মতো পণ্য তৈরিতে সময় কাটছে তাদের। বছরের অন্য সময়ের চাইতে ঈদ উল আযহার এই সময়টাতে একটু বেশি ব্যস্তই তারা।
ঈদে আরেকটি জিনিষ প্রয়োজন হয় কোরবানীতে। তা হলো কাঠের গোলাই। এর চাহিদাও থাকে। গোলাই বিক্রিতেও ব্যস্ত অনেকে।
এসব পন্যের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে এমনটি প্রত্যাশা সকলের। ঝালকাঠির কামার শিল্পের সাথে জড়িতদের এখন দম ফেলার সময় নেই। পাচ্ছেন না তারা। জেলা সদরের চার উপজেলার অন্তত ৫০টি স্থানে কামারদের দোকান রয়েছে। প্রায় দুই শতাধিক লোক এই শিল্পের সাথে জড়িত। নতুন করে দা, বটি, ছুরি ও চাপাতি তৈরির অর্ডার পেয়েছেন কামারেরা। তবে মজুরি বেড়ে যাওয়ায় সে চাহিদা আগের চাইতে কমেছে।
পুরাতন যুগের কামারশালাকে কারখানা ভিত্তিক করে গড়ে তুলতে এবং ব্যবসার প্রসার ঘটাতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিসিকের উপ-ব্যাবস্থাপক শফিউল করিম।
এদিকে, দিনাজপুরের একমাত্র কামার পল্লী হিসেবে কোন রকমের টিকে আছে কামার পল্লী এলাকা। জেলার ১৩টি উপজলোয় এক সময় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ থাকলেও বর্তমানে রয়েছে মাত্র শ’খানেক।