ইতিহাসের সর্বোচ্চ ঋণের ওপর ভর করে ঘোষিত হচ্ছে এবারের জাতীয় বাজেট
- আপডেট সময় : ০১:১৮:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুন ২০২০
- / ১৫৪৮ বার পড়া হয়েছে
সর্বোচ্চ ঋণের ওপর ভর করে ঘোষিত হচ্ছে এবারের জাতীয় বাজেট। মোটা অংকের এই ঋণের বেশিরভাগ টাকার যোগানই আসবে দেশের ব্যাংকগুলো থেকে। এতে অভ্যন্তরীণ উৎপাদনসহ বেসরকারী উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে আশংকা করছেন ব্যবসায়ীরা। তাই ব্যাংক ঋণের নির্ভরতা কমিয়ে কর-আদায় সীমার মধ্যে বাজেট প্রণয়নের সাথে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্টে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন তারা। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনাকালে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের মতো সবখাতকে ঢেলে সাজানোর প্রস্তুতির সাথে দুর্নীতি-অপচয় বন্ধের সুস্পষ্ট রূপরেখা না থাকলে বড় বাজেট কেবল লুটপাট আরো বাড়াবে।
করোনা দুর্যোগে বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে টেনে তোলার দায়িত্ব পড়েছে এবার ব্যাংকগুলোর কাঁধে। বেসরকারি বিভিন্ন খাতের প্রণোদনায়, কম সুদে সহজ শর্তের ঋণ দিতে তাগিদ আছে তাদের প্রতি। একই সাথে বকেয়া ঋণের সুদ আদায়ে কড়াকড়িতেও সরকারের নিষেধ থাকায় তারা অর্থ ফেরত পাচ্ছে কম। পাশাপাশি লকডাউনের কারণে আমানত উত্তোলনের পরিমাণ বাড়ায় তারল্য কমেছে ব্যাংকে। এরই মাঝে প্রায় ৬ লাখ কোটি টাকার জাতীয় বাজেটের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই সরকার ব্যাংক থেকে নেবার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারল্য সংকটে দীর্ঘদিন ধরেই অর্থের চাহিদা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে ব্যাংকগুলো। এই অবস্থায় ব্যাংকঋণ নির্ভর বাজেটে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বেসরকারী উদ্যোক্তা তথা সামগ্রিক অর্থনীতি। বিজিএমইএ বলছে, করোনার কারণে রপ্তানীর গন্তব্য- উন্নত দেশগুলোর চাহিদা কমায় বাংলাদেশের কর্মসংস্থান আরো সংকুচিত হবার আশংকা রয়েছে। তাই আমদানী নির্ভরতা কমিয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সম্প্রসারণের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করে বাড়াতে হবে অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থান।
আর অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, করোনা দুর্যোগের এই বৈশ্বিক সংকটের মাঝে ব্যাপকভাবে বিদেশি সহায়তা পাওয়ার আশাও কম। তাই অপচয় ও দুর্নীতি রোধ করে সংকুলানমুখী বাজেটের প্রয়োজন। করোনার হাত ধরে আগামীতে অর্থনীতিতে আসবে আরো অনেক অজানা চ্যালেঞ্জ। তাই এর মোকাবিলায় গতানুগতিক বরাদ্দ আর জিডিপি’র ঘেরা টোপ ভেঙ্গে, কর্মসংস্থান রক্ষা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজেটে ব্যতিক্রম কিছু দেখতে চান সংশ্লিষ্টরা।