আরো দেড়শো কন্টেইনার বিদেশী মদের খালাস স্থগিত করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম
- আপডেট সময় : ০৯:৪৪:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জুলাই ২০২২
- / ১৫২৫ বার পড়া হয়েছে
এক সপ্তার ব্যবধানে ৬ কন্টেইনার বিদেশী মদের চালান আটকের পর সন্দেহজনক আরো দেড়শো কন্টেইনার খালাস স্থগিত করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। শতভাগ পরীক্ষার পর চালান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েই কন্টেইনারগুলো খালাস করা হবে। শুল্ক-গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, নামিদামী প্রতিষ্ঠানের আইপি জালিয়াতির মাধ্যমে কয়েক দফা চেকিং এড়িয়ে এসব চালান কিভাবে বের হচ্ছে তা নিয়ে অনুসন্ধান চলছে। আর বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, কাস্টমসের আধুনিকায়ন না হওয়ায় মিথ্যা ঘোষণায় অবৈধ পণ্য আনার ঘটনা বাড়ছে।
২২ জুলাই প্রথম কন্টেইনারভর্তি মদের চালান ধরা পড়ে নারায়ণগঞ্জে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে চালানটি বের করে ঢাকায় নেয়ার পথে দুটি কন্টেইনার জব্দ করে শুল্কো গোয়েন্দারা। এরপরই তিন দিনে আরো চারটি মদ বোঝাই কন্টেইনার জব্দ করা হয়।
দেশের বিভিন্ন ইপিজেডে দেশি-বিদেশী প্রতিষ্ঠিত রপ্তানীমুখি শিল্প প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে, মিথ্যা ঘোষণায় এসব মদের চালান এসেছে। একজন কাস্টম কর্মকর্তার আইডি হ্যাক করে ভুয়া আপি এড্রেস খুলে কাস্টম আনস্টাফিং, স্ক্যানিং ও গেট ডিভিশনের জাল ছাড়পত্র ব্যবহার করে চালানগুলো খালাস করার চেষ্টা চলে। এতে হতবাক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
স্মরণকালের সবচেয়ে বড় এই মদের চালান ধরা পরায় নড়ে চড়ে বসেছে কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষ। এসাইকোডা সিস্টেমে সন্দেহজন অন্তত দেড়শোটি কন্টেইনার খালাস স্থগিত করেছে কাস্টমস। এসব কন্টেইনারে এমন আরো চালান থাকার আশংকা তাদের।
বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, শতভাগ অটোমেশন পদ্ধতি চালু না করাসহ কাস্টমসের অদক্ষতার কারণে এমন মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আনার ঘটনা বাড়ছে। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
মদভর্তি ৬ টি কন্টেইনারে অন্তত ৫৮ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা চলে। এছাড়া প্রতিটি চালানে সুতা ও পলিথিনের মতো কমদামি ও বন্ডের শুল্কমুক্ত পণ্য আমদানীর ঘোষণা দেয়া হয়। তাই মুল এলসির বাইরেও বিপুল পরিমান টাকা অবৈধভাবে পাচার করা হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।