আন্তর্জাতিক নিয়মের দোহাই দিয়ে ডলার মুল্যে মাশুল আদায় করছে চট্টগ্রাম বন্দর
- আপডেট সময় : ০২:০৫:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২
- / ১৫১২ বার পড়া হয়েছে
দেশীয় ঠিকাদারদের মাধ্যমে সেবা প্রদান করলেও আন্তর্জাতিক নিয়মের দোহাই দিয়ে ডলার মুল্যে মাশুল আদায় করছে চট্টগ্রাম বন্দর। এতে অন্তত ২০ শতাংশ বাড়তি খরচের মুখোমুখি হচ্ছে আমদানী ও রপ্তানীকারকরা।
যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে মুদ্রাস্ফীতিতে। ডলার বাজারের চরম অস্থির সময়ে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আহবান জানিয়েছে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো জড়িত থাকায় সেবার মান টাকায় নির্ধারন করার সুযোগ নেই।
দেশের আমদানী রপ্তানীর অন্তত ৯২ শতাংশই পরিচালিত হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। আলাদা আলাদা মাশুলের বিনিময়ে পণ্য খালাশ, ডেলিভারি, জাহাজীকরণ, সংরক্ষণসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরীর সেবা প্রদান করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। দেশীয় মুদ্রায় এসব মাশুল পরিশোধ করা হলেও তা নির্ধারিত হয় ডলারের দামের ওপর।
গেলো দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে অস্থির বৈদেশিক বিনিময় মুদ্রার বাজার। এই সময়ের মধ্যে ডলারের দাম বেড়েছে ২৫ টাকারও বেশি। তাই খরচও বাড়ছে ব্যবসায়ীদের।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই বলছে, আন্তর্জাতিক নিয়মে বন্দর পরিচালিত হলেও সব সেবাই দেশীয় পদ্ধতিতে দেয়া হয়। তাই ডলার বাজারের এই অস্বাভাবিক অস্থিরতার মধ্যে বিষয়টি নতুন করে বিবেচনার দাবি রাখে।
তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারের নীতি নির্ধারনী পর্যায় থেকে বন্দরের মাশুল নির্ধারণ করা হয়। দেশীয় আমদানী-রপ্তানীকারকদের পাশাপাশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো বন্দরের সেবা গ্রহীতা।তাই ইচ্ছা করলেই মাশুল পুণর্বিবেচনার সুযোগ নেই।
বছরে ৩০ লাখ কন্টেইনার আর ১১ কোটি টন খোলা পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা আছে চট্টগ্রাম বন্দরের। এরমধ্যে কয়েকশো গুন শুল্ক পরিশোধ করার মতো পণ্য যেমন আছে; তেমন শুল্কমুক্ত ও বন্ডের পণ্যও আসা যাওয়া করে এই বন্দর দিয়ে। কিন্তু মাশুল পরিশোধ করতে হয় সব ধরণের পণ্যের ক্ষেত্রে।