কঠোর সতর্কবার্তা দেয়ার পরও আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ে ঠেকানো যাচ্ছে না বিদ্রোহ। রাজশাহীর বিভাগের ৫ জেলায় ৭ জন পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন দলীয় প্রতীক নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করে। তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, প্রার্থী নির্ধারণে জনপ্রিয় নেতা বাছাই করতে না পারায় এমন দশা। এজন্য বিশেষ করে দলীয় এমপিদের প্রভাবকেই দায়ী করা হচ্ছে।

গেলো ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীকে হারিয়ে মেয়র হন বিদ্রোহী প্রার্থী শরিফউদ্দিন প্রধান। অথচ ভোটের দু’দিন আগেও নির্বাচনী এক সমাবেশে নৌকার পক্ষে ভোটকেন্দ্র পাহারা দেয়ার কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন দলের প্রভাবশালী নেতা এসএম কামাল হোসেন।

বগুড়ার ধুনটে এজিএম বাদশা, রাজশাহীর আড়ানীতে মোক্তার আলী, গোদাগাড়ীতে মনিরুল ইসলাম বাবু, মণ্ডুমালায় সাইদুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরে মতিউর রহমান খান ও সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সাজ্জাদুল হক রেজা নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করে মেয়র নির্বাচিত হন। কঠোর সতর্কবার্তা দেয়ার পরও বিদ্রোহী প্রার্থীদের বাগে আনতে পারে নি আওয়ামী লীগ।

তবে বিদ্রোহী ও তাদের ইন্ধনদাতারা ভবিষ্যতে দলের নেতা থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এই নেতা।

রাজশাহী বিভাগের ৪৪টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে অধিকাংশ পৌরসভাতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট করেছেন দলের বিদ্রোহীরা।