১১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

আইন না মেনে রংপুরে চলছে কাস্টমস কর্মকর্তা কামরুলের অভিযান

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৬:০২:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১৫৯১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভ্যাট-ট্যাক্সের মতো জটিল কঠিন হিসেবের জালে ফাঁসিয়ে উত্তরাঞ্চলের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের হয়রানী ও অবৈধ চাঁদাবাজিতে জড়িত রংপুরে সদ্য যোগদানকারী কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট এর উপ কমিশনার কামরুল ইসলাম। সবশেষ এসএ পরিবহনের রংপুর অফিসে কথিত অভিযানে যান তিনি। অফিস তছনছ ছাড়াও কোনো রকম জব্দ তালিকা ছাড়াই বেশ কিছু মুল্যবান পার্শ্বেল নিয়ে যান তিনি। থানায় জিডি করেও বিচার পায়নি প্রতিষ্ঠানটি। কাস্টমসের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা বলছেন, অভিযান ও পণ্য জব্দ করতে হলে আইন অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।

সিসিটিভি ক্যামেরার এই ফুটেজটি গেল সোমবার রাতের। জরুরী সেবাধর্মী দেশের শীর্ষস্থানীয় পার্শ্বেল ও কুরিয়ার সার্ভিস এসএ পরিবহনের রংপুর অফিসে হানা দেন কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট অফিসের উপ-কমিশনার কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদন সাদা পেষাকের মানুষ। এসময় জরুরী সার্ভিসে নিয়োজিত কর্মীদের সঙ্গে চরম দুব্যবহার এমনকি হুমকি ধামকি দিয়ে কোন ধরণের সিজারলিস্ট ছাড়াই কয়েকটি পার্শ্বেল ছিনিয়ে নিয়ে যান তারা।

এক ঘন্টারও দেশি সময় ধরে চালানো কথিত অভিযানের সময়ে বুকিং দিতে গ্রাহকদের সঙ্গেও অশালিন আচরণ করে তাদেরকে অফিস থেকে বের করে দেন কস্টমস কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী ব্যক্তিরা। পড়ে রাস্তা থেকে সেসব পণ্য ছিনিয়ে নিয়ে যান তারা। যা প্রচলিত ছিনতাই ও ডাকাতির সঙ্গেও তুলনা করছেন স্থানীয়রা।

বিষয়টি নিয়ে ওই রাতেই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্ত্বা ও আইনগত সহায়তা চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্ত হয় এসএ পরিবহন।থানায় জিডি করেও তিন দিনে বিচার না পেয়ে নিরাপত্ত্বাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার।

অবসরপ্রাপ্ত কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন যেকোন পণ্য জব্দ করতে হলে স্বাক্ষীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার পাশাপাশি যে ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য জব্দ করা হচ্ছে সেই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির কাছে জব্দ তালিকা সরবরাহ করা বাধ্যতামুলক। এর ব্যত্যয় ঘটলে হবে আইনের লঙ্ঘন।

একই সঙ্গে পরিবহন প্রতিষ্ঠান ও কুরিয়ার সার্ভিসের ওপর কোন পণ্যের দায় পড়বে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রংপুর কাস্টমসের বর্তমান কমিশনার সরাসরি ক্যামেরায় কথা বলতে রাজি হননি। তবে জব্দ তালিকা ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে মালামাল নিয়ে আসার আইন নেই বলে স্বীকার করে উপ কমিশনার কামরুল ইসলাম কোন ক্ষমতাবলে এসএ পরিবহন থেকে গ্রাহকের বুকিং হওয়া পার্শ্বেল ছিনিয়ে এনেছেন তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উপ কমিশনার কামরুল ইসলামের বক্তব্য জানতে কয়েকদফায় ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ব্যাক্তিগত পণ্য পরিবহনে ভ্যাট চারানের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও এই বিষয়টিকে সামনে এনে গ্রাহকের পণ্য ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে রংপুর কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আইন না মেনে রংপুরে চলছে কাস্টমস কর্মকর্তা কামরুলের অভিযান

আপডেট সময় : ০৬:০২:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

ভ্যাট-ট্যাক্সের মতো জটিল কঠিন হিসেবের জালে ফাঁসিয়ে উত্তরাঞ্চলের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের হয়রানী ও অবৈধ চাঁদাবাজিতে জড়িত রংপুরে সদ্য যোগদানকারী কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট এর উপ কমিশনার কামরুল ইসলাম। সবশেষ এসএ পরিবহনের রংপুর অফিসে কথিত অভিযানে যান তিনি। অফিস তছনছ ছাড়াও কোনো রকম জব্দ তালিকা ছাড়াই বেশ কিছু মুল্যবান পার্শ্বেল নিয়ে যান তিনি। থানায় জিডি করেও বিচার পায়নি প্রতিষ্ঠানটি। কাস্টমসের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা বলছেন, অভিযান ও পণ্য জব্দ করতে হলে আইন অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।

সিসিটিভি ক্যামেরার এই ফুটেজটি গেল সোমবার রাতের। জরুরী সেবাধর্মী দেশের শীর্ষস্থানীয় পার্শ্বেল ও কুরিয়ার সার্ভিস এসএ পরিবহনের রংপুর অফিসে হানা দেন কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট অফিসের উপ-কমিশনার কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদন সাদা পেষাকের মানুষ। এসময় জরুরী সার্ভিসে নিয়োজিত কর্মীদের সঙ্গে চরম দুব্যবহার এমনকি হুমকি ধামকি দিয়ে কোন ধরণের সিজারলিস্ট ছাড়াই কয়েকটি পার্শ্বেল ছিনিয়ে নিয়ে যান তারা।

এক ঘন্টারও দেশি সময় ধরে চালানো কথিত অভিযানের সময়ে বুকিং দিতে গ্রাহকদের সঙ্গেও অশালিন আচরণ করে তাদেরকে অফিস থেকে বের করে দেন কস্টমস কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী ব্যক্তিরা। পড়ে রাস্তা থেকে সেসব পণ্য ছিনিয়ে নিয়ে যান তারা। যা প্রচলিত ছিনতাই ও ডাকাতির সঙ্গেও তুলনা করছেন স্থানীয়রা।

বিষয়টি নিয়ে ওই রাতেই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্ত্বা ও আইনগত সহায়তা চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্ত হয় এসএ পরিবহন।থানায় জিডি করেও তিন দিনে বিচার না পেয়ে নিরাপত্ত্বাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার।

অবসরপ্রাপ্ত কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন যেকোন পণ্য জব্দ করতে হলে স্বাক্ষীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার পাশাপাশি যে ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য জব্দ করা হচ্ছে সেই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির কাছে জব্দ তালিকা সরবরাহ করা বাধ্যতামুলক। এর ব্যত্যয় ঘটলে হবে আইনের লঙ্ঘন।

একই সঙ্গে পরিবহন প্রতিষ্ঠান ও কুরিয়ার সার্ভিসের ওপর কোন পণ্যের দায় পড়বে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রংপুর কাস্টমসের বর্তমান কমিশনার সরাসরি ক্যামেরায় কথা বলতে রাজি হননি। তবে জব্দ তালিকা ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে মালামাল নিয়ে আসার আইন নেই বলে স্বীকার করে উপ কমিশনার কামরুল ইসলাম কোন ক্ষমতাবলে এসএ পরিবহন থেকে গ্রাহকের বুকিং হওয়া পার্শ্বেল ছিনিয়ে এনেছেন তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উপ কমিশনার কামরুল ইসলামের বক্তব্য জানতে কয়েকদফায় ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ব্যাক্তিগত পণ্য পরিবহনে ভ্যাট চারানের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও এই বিষয়টিকে সামনে এনে গ্রাহকের পণ্য ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে রংপুর কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।