০৪:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

যেভাবে কাজ করবে ভারতের সৌরযান

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১২:০৪:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১৬৮০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চাঁদের পর এবার সূর্য। গত শনিবার সূর্যের দিকে যাত্রা করেছে ভারতের সৌরযান আদিত্য এল ওয়ান। কীভাবে কাজ করবে আদিত্য?

ভারতের চন্দ্রাভিযান সফল। চাঁদে ঠিকভাবে নামতে পেরেছে ল্যান্ডার বিক্রম। তার পেট থেকে বেরিয়ে রোভার প্রজ্ঞান চাঁদে ঘুরে ঘুরে সমানে নানা তথ্য পাঠিয়েছে বিজ্ঞানীদের কাছে। দুই সপ্তাহ পরে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে দিন শেষ হয়ে ১৪ দিনের জন্য রাত নামবে। তখন প্রজ্ঞান ও বিক্রমের কাজ শেষ হবে। কারণ, তারা সৌরশক্তিতে চলে। সৌরশক্তি না থাকায় তারা আর কাজ করতে পারবে না।

তবে ভারতের নজর এখন সূর্যের দিকেই। গত শনিবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে রওয়ানা হয়েছে সৌরযান আদিত্য এল ওয়ান। এটাই হলো ভারত থেকে সূর্যের দিকে যাওয়া প্রথম মহাকাশযান।

কীভাবে কাজ করবে আদিত্য এল ওয়ান?

পৃথিবী থেকে ১৫ লাখ কিলোমিটার পথ যাবে এই সৌরযান। তার জন্য ১২৫ দিন সময় লাগবে। প্রথমে ১৬ দিন তা পৃথিবার কক্ষপথে থাকবে। তারপর পাড়ি দেবে সূর্যের দিকে। কক্ষপথ বদল করে তা গিয়ে পৌঁছাবে যে জায়গায় তার নাম ল্য়াগরেজ পয়েন্ট বা এল ওয়ান পয়েন্ট। সেখানেই থাকবে ভারতের পাঠানো এই উপগ্রহ। সেকারণেই সৌরযানের নাম আদিত্য এল ওয়ান। আদিত্য মানে সূর্য এবং এল ওয়ান হলো  সেই পয়েন্ট, যেখানে সে অবস্থান করবে।

এই সৌরযানে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করার জন্য আছে সাতটি পে লোড।  এদের প্রত্যেকের নিজস্ব কাজ আছে। সৌরযান তখনই সফল হবে, যখন এই পে লোডগুলি নিজের কাজ ঠিক করে করবে। যেমন ধরুন, ভিইলসি পে লোডটি সূর্যের কোরোনা স্তরের ছবি তুলবে।

তাছাড়া সূর্যের বর্ণালি পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট দেবে ভিএলসি। সূর্যের কোরোনা থেকে আলোর রশ্মির বিচ্ছুরণ ও তার ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক বিকিরণ সম্পর্কেও তথ্য জানাবে ভিএলসি। সোলেক্স পে লোডের কাজ হবে নক্ষত্র হিসাবে সূর্য কেমন তা বিচার করা।

আরেকটা পে লোডের নাম এসইউআইসি। তারা ক্রোমোস্ফিয়ার ও ফটোস্ফিয়ারের ছবি ও তথ্য পাঠাবে। সূর্যস্পৃষ্ঠের নাম ফটোস্পিয়ার ও সেখান থেকে করোনা পর্যন্ত প্লাজমার স্তরের নাম ক্রোমোস্পিয়ার।

অন্য পে লোডগুলি সূর্যের বায়ু, কণা ও চুম্বকক্ষেত্র সম্পর্কে খবরাখবর দেবে।

আদিত্য এল ওয়ান মিশনের দিকে শুধু ভারত নয়, তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব। কারণ, সফল হলে এই সৌরযান সূর্য সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য দেবে। যা পরবর্তী বৈজ্ঞনিক গবেষণার জন্য, সূর্যকে জানার জন্য খুবই জরুরি।

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

যেভাবে কাজ করবে ভারতের সৌরযান

আপডেট সময় : ১২:০৪:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চাঁদের পর এবার সূর্য। গত শনিবার সূর্যের দিকে যাত্রা করেছে ভারতের সৌরযান আদিত্য এল ওয়ান। কীভাবে কাজ করবে আদিত্য?

ভারতের চন্দ্রাভিযান সফল। চাঁদে ঠিকভাবে নামতে পেরেছে ল্যান্ডার বিক্রম। তার পেট থেকে বেরিয়ে রোভার প্রজ্ঞান চাঁদে ঘুরে ঘুরে সমানে নানা তথ্য পাঠিয়েছে বিজ্ঞানীদের কাছে। দুই সপ্তাহ পরে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে দিন শেষ হয়ে ১৪ দিনের জন্য রাত নামবে। তখন প্রজ্ঞান ও বিক্রমের কাজ শেষ হবে। কারণ, তারা সৌরশক্তিতে চলে। সৌরশক্তি না থাকায় তারা আর কাজ করতে পারবে না।

তবে ভারতের নজর এখন সূর্যের দিকেই। গত শনিবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে রওয়ানা হয়েছে সৌরযান আদিত্য এল ওয়ান। এটাই হলো ভারত থেকে সূর্যের দিকে যাওয়া প্রথম মহাকাশযান।

কীভাবে কাজ করবে আদিত্য এল ওয়ান?

পৃথিবী থেকে ১৫ লাখ কিলোমিটার পথ যাবে এই সৌরযান। তার জন্য ১২৫ দিন সময় লাগবে। প্রথমে ১৬ দিন তা পৃথিবার কক্ষপথে থাকবে। তারপর পাড়ি দেবে সূর্যের দিকে। কক্ষপথ বদল করে তা গিয়ে পৌঁছাবে যে জায়গায় তার নাম ল্য়াগরেজ পয়েন্ট বা এল ওয়ান পয়েন্ট। সেখানেই থাকবে ভারতের পাঠানো এই উপগ্রহ। সেকারণেই সৌরযানের নাম আদিত্য এল ওয়ান। আদিত্য মানে সূর্য এবং এল ওয়ান হলো  সেই পয়েন্ট, যেখানে সে অবস্থান করবে।

এই সৌরযানে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করার জন্য আছে সাতটি পে লোড।  এদের প্রত্যেকের নিজস্ব কাজ আছে। সৌরযান তখনই সফল হবে, যখন এই পে লোডগুলি নিজের কাজ ঠিক করে করবে। যেমন ধরুন, ভিইলসি পে লোডটি সূর্যের কোরোনা স্তরের ছবি তুলবে।

তাছাড়া সূর্যের বর্ণালি পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট দেবে ভিএলসি। সূর্যের কোরোনা থেকে আলোর রশ্মির বিচ্ছুরণ ও তার ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক বিকিরণ সম্পর্কেও তথ্য জানাবে ভিএলসি। সোলেক্স পে লোডের কাজ হবে নক্ষত্র হিসাবে সূর্য কেমন তা বিচার করা।

আরেকটা পে লোডের নাম এসইউআইসি। তারা ক্রোমোস্ফিয়ার ও ফটোস্ফিয়ারের ছবি ও তথ্য পাঠাবে। সূর্যস্পৃষ্ঠের নাম ফটোস্পিয়ার ও সেখান থেকে করোনা পর্যন্ত প্লাজমার স্তরের নাম ক্রোমোস্পিয়ার।

অন্য পে লোডগুলি সূর্যের বায়ু, কণা ও চুম্বকক্ষেত্র সম্পর্কে খবরাখবর দেবে।

আদিত্য এল ওয়ান মিশনের দিকে শুধু ভারত নয়, তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব। কারণ, সফল হলে এই সৌরযান সূর্য সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য দেবে। যা পরবর্তী বৈজ্ঞনিক গবেষণার জন্য, সূর্যকে জানার জন্য খুবই জরুরি।

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ