০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে বাবা, মা, বোন ও নানীকে হত্যার পর দুই ভাইয়ের আত্মহত্যা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৭:৪১:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১
  • / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস শহরের একটি বাড়ি থেকে এক বাংলাদেশি পরিবারের ৬ সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের পুলিশ। স্থানীয় সময় সোমবার ভোরে ফোনকল পেয়ে ডালাসের একটি বাড়ি থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।এরা সবাই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান।পুলিশ বলছে,পরিবারটির বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই ভাই, তারা তাদের বাবা, মা, বোন ও নানীকে হত্যার পর নিজেরা আত্মহত্যা করে বলে ফেসবুক পোস্ট থেকে থেকে জানা যায়।দুই ভাইয়ের একভাই এই তার ফেসবুক পেইজে পোস্টটি দিয়েছিলেন।

আকস্মিক এ ঘটনায় হতবাক হয়ে পড়েছে টেক্সাসের পুরো বাংলাদেশি সম্প্রদায় । ভুগছেন চাপা আতংকে। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের পুলিশ বলছে,পরিবারের ছোট ছেলেটি ফেসবুকে একটি নোট দিয়ে গেছে। সেখানে সে বলেছে, সে ও তার ভাই বিষণ্ণতায় ভুগছিলো দীর্ঘদিন। বিষণ্ণতার জন্য চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বলে ছোট ছেলেটি তার পোস্টে লেখে, যদিও পরিবারের কেউ এসব জানতেন না ।

ওই নোটে ছোট ছেলেটি আরও লিখেছে যে, ২০১৬ সাল থেকে চরম বিষণ্ণতায় আক্রান্ত সে।এমনকি এর জের ধরে কখনো কখনো নিজেই নিজের হাত পা কেটে স্বস্তি পাওয়ার চেষ্টা করেছে সে এবং তার বড় ভাইও বিষণ্ণতায় আক্রান্ত। ফেসবুক নোটে এমনকি ছোটো ছেলেটি বর্ণনা করেছে যে কিভাবে তারা বন্দুক সংগ্রহ করে।

আত্মহত্যাকারী দুই ভাই ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস অস্টিনের শিক্ষার্থী ছিলো। প্রতিবেশীরা জানায় “পরিবারটি ছিলো ছিমছাম ও শান্তিপ্রিয়। প্রতিবেশীসহ অন্যদের সহযোগিতার জন্য সুনাম ছিলো তাদের। লেখাপড়াতেও তারা ছিল মেধাবী। এই হত্যাকান্ডের আগে তারা তাদের বোনকে নিউইয়র্ক থেকে ডেকে নেয় পারিবারিক গেট টুগেদারের জন্য। আর তাদের নানী গত মাসে বাংলাদেশে ফেরার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ফিরতে পারেননি। ফেসবুকে ছোটো ছেলেটি যা লিখে গেছে তাতে তারা দুই ভাই মিলেই পরিকল্পনা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পুরনো ঢাকার এই পরিবারটি আট বছর ধরে টেক্সাসে বসবাস করছিলো এবং এর আগে তারা নিউইয়র্কে থাকতেন। তাদের পরিবারের আরও সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের আছেন এবং খবর পেয়ে তারা সেখানে রওনা হয়েছেন। ওদিকে এ ঘটনা জানাজানির পর ভোর থেকেই সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশীদের অনেকে বাড়িটির সামনে জমায়েত হয়েছেন। ময়না তদন্তের পর পুলিশের কাছ থেকে মৃতদেহ ফেরত পাওয়ার পর তাদের দাফনসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে বাবা, মা, বোন ও নানীকে হত্যার পর দুই ভাইয়ের আত্মহত্যা

আপডেট সময় : ০৭:৪১:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১

যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস শহরের একটি বাড়ি থেকে এক বাংলাদেশি পরিবারের ৬ সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের পুলিশ। স্থানীয় সময় সোমবার ভোরে ফোনকল পেয়ে ডালাসের একটি বাড়ি থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।এরা সবাই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান।পুলিশ বলছে,পরিবারটির বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই ভাই, তারা তাদের বাবা, মা, বোন ও নানীকে হত্যার পর নিজেরা আত্মহত্যা করে বলে ফেসবুক পোস্ট থেকে থেকে জানা যায়।দুই ভাইয়ের একভাই এই তার ফেসবুক পেইজে পোস্টটি দিয়েছিলেন।

আকস্মিক এ ঘটনায় হতবাক হয়ে পড়েছে টেক্সাসের পুরো বাংলাদেশি সম্প্রদায় । ভুগছেন চাপা আতংকে। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের পুলিশ বলছে,পরিবারের ছোট ছেলেটি ফেসবুকে একটি নোট দিয়ে গেছে। সেখানে সে বলেছে, সে ও তার ভাই বিষণ্ণতায় ভুগছিলো দীর্ঘদিন। বিষণ্ণতার জন্য চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বলে ছোট ছেলেটি তার পোস্টে লেখে, যদিও পরিবারের কেউ এসব জানতেন না ।

ওই নোটে ছোট ছেলেটি আরও লিখেছে যে, ২০১৬ সাল থেকে চরম বিষণ্ণতায় আক্রান্ত সে।এমনকি এর জের ধরে কখনো কখনো নিজেই নিজের হাত পা কেটে স্বস্তি পাওয়ার চেষ্টা করেছে সে এবং তার বড় ভাইও বিষণ্ণতায় আক্রান্ত। ফেসবুক নোটে এমনকি ছোটো ছেলেটি বর্ণনা করেছে যে কিভাবে তারা বন্দুক সংগ্রহ করে।

আত্মহত্যাকারী দুই ভাই ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস অস্টিনের শিক্ষার্থী ছিলো। প্রতিবেশীরা জানায় “পরিবারটি ছিলো ছিমছাম ও শান্তিপ্রিয়। প্রতিবেশীসহ অন্যদের সহযোগিতার জন্য সুনাম ছিলো তাদের। লেখাপড়াতেও তারা ছিল মেধাবী। এই হত্যাকান্ডের আগে তারা তাদের বোনকে নিউইয়র্ক থেকে ডেকে নেয় পারিবারিক গেট টুগেদারের জন্য। আর তাদের নানী গত মাসে বাংলাদেশে ফেরার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ফিরতে পারেননি। ফেসবুকে ছোটো ছেলেটি যা লিখে গেছে তাতে তারা দুই ভাই মিলেই পরিকল্পনা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পুরনো ঢাকার এই পরিবারটি আট বছর ধরে টেক্সাসে বসবাস করছিলো এবং এর আগে তারা নিউইয়র্কে থাকতেন। তাদের পরিবারের আরও সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের আছেন এবং খবর পেয়ে তারা সেখানে রওনা হয়েছেন। ওদিকে এ ঘটনা জানাজানির পর ভোর থেকেই সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশীদের অনেকে বাড়িটির সামনে জমায়েত হয়েছেন। ময়না তদন্তের পর পুলিশের কাছ থেকে মৃতদেহ ফেরত পাওয়ার পর তাদের দাফনসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।