আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক পাঠানো হবে : ড. এ কে আবদুল মোমেন
- আপডেট সময় : ০৭:৪০:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জুলাই ২০২২
- / ১৫২৯ বার পড়া হয়েছে
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি জানান, গ্রীসের শ্রমবাজারও বাংলাদেশের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে।
বিকেলে ঢাকার সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনে, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, দেশে কোনো বিদ্যুৎ সংকট নেই। জ্বালানি সাশ্রয়ে সাবধানতার অংশ হিসেবে সরকার লোডশেডিং দিচ্ছে। সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহবান জানান এ কে আব্দুল মোমেন।
মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার নিয়ে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে বায়রার একাংশ।
রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদ নেতারা বলছেন, সিন্ডিকেট করে সাধারণ শ্রমিকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। রিক্রুটিং এজেন্সির স্বার্থ রক্ষায় উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হবেন তারা। দুই সপ্তাহের মধ্যে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর সিদ্ধান্তটি এ অবস্থায় থমকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা বায়রা নেতাদের।
বাংলাদেশিদের জন্য দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় শ্রম বাজার হচ্ছে মালেশিয়া। বর্তমানে দেশটিতে বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি । নতুন করে আরও ৫ লাখ বেশি শ্রমিক নেয়ার প্রস্ততিও শেষদিকে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন জানান, দু’সপ্তাহের মধ্যে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো শুরু হবে। কিন্তু ২৫টি এজেন্সির মাধ্যমে লোক পাঠানোর সিদ্ধান্তে অসন্তোষ দানা বেধেছে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর মাঝে। বায়রার সিন্ডিকেট বিরোধী অংশ এরই মধ্যে রাজপথে নানা কর্মসূচিও পালন করছে।
মালেশিয়া সরকারের পক্ষ থেকে বিনা পয়সায় লোক নেয়ার কথা বলো হলেও বাংলাদেশ সরকার আনুসাঙ্গিক খরচ বাবদ ৭৮,৯৯০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
মেডিক্যালের অনুমতি সরকাররের পক্ষ থেকে না দিলেও মেডিকেল করানোর অভিযোগ রয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
এমন পরিস্থিতিতে রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদ বলছে , সিন্ডিকেট করে সাধারণ শ্রমিকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ রিক্রুটিং এজেন্সির স্বার্থ রক্ষায় উচ্চ আদালেতের শরণাপন্ন হবেন তারা।
সব জটিলতার অবসান হয়ে স্বল্প খরচে মালেশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক যেতে পারবে এমনটাই আশা রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর।