বাবার সামনেই মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সাত বছরের শিশুসন্তান
- আপডেট সময় : ০১:১৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০২০
- / ১৫০৪ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীতে বাবার সামনেই মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সাত বছরের শিশুসন্তান। এমন ঘটনা যেমন বিস্ময় ও হতবাকের জন্ম দিয়েছে, তেমনি শোকে কাতর গ্রামবাসী। ঘাতক শিশুকে পুলিশ হেফাজতে নিলেও কোনো আইনী ব্যবস্থা নিতে পারছে না। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হয়তো টিভিতে এ ধরনের কোনো ঘটনা দেখে বা শুনে নিজের ভেতরেই তা লালন করছিল শিশুটি। তাই গল্পের মতোই নিজের বীরত্ব প্রকাশ করতে গিয়ে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তবে তা কোনোভাবেই জেনে বা বুঝে নয়। তবে শিশুটিকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করলে এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে তার জীবনে।
সোমবার সকালে সাত বছরের শিশু ফাহিম চিপস কিনতে পাঁচ টাকার জন্য বায়না ধরেছিল দিনমজুর বাবার কাছে। কিন্তু নিজের কাছে কোনো টাকা না থাকায় মায়ের কাছে যেতে বলেন তিনি। মার হাতও তখন আবার খালি। কিন্তু বার বার জেদ ধরায় শিশুটিকে বকাঝকা করেন মা ফাতেমা। এ নিয়ে কথা কাটাকাটিও হয়। এরপরই পাশে পড়ে থাকা হাঁসুয়া তুলে মুহূর্তেই মায়ের বুকে কোপ বসিয়ে দেয় ফাহিম। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রতিবেশীরা তাকে হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করলে পথেই মারা যান ফাতেমা। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনার খবর পেয়ে শিশু ফাহিমকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। তবে শিশুটির বয়স ৯ বছরেরও কম হওয়ার কারণে আইনী কোনো ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে মানসিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুরা যা দেখে, তা-ই অনুকরণের চেষ্টা করে। এ ধরনের কোনো ঘটনা হয়তো টেলিভিশন বা অন্য কোনো মাধ্যমে দেখে অথবা শুনে মনে মনে লালন করছিল শিশুটি। এছাড়া, এর পেছনে অবশ্য সামাজিক ও পারিবারিক শিক্ষার অভাবকেও দায়ী করছেন তারা। ফাতেমার মরদেহ যখন হাসপাতালের লাশকাটা ঘরে তখন হয়তো কিছুটা বোধশক্তি ফিরে পায় শিশুটি। মাকে জীবিত ফেরত পেতে পুলিশের কাছে বার বার অনুরোধও করছিল সে। নিহত ফাতেমার দু’বছর বয়সী আরেকটি শিশুপুত্র রয়েছে।