০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

ই-স্পোর্টসকে ক্রীড়া হিসেবে ঘোষণা, উচ্ছ্বাস ক্রীড়াপ্রেমীদের মাঝে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১২:২৯:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
  • / ১৫২৮ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক স্পোর্টস (ই-স্পোর্টস) এখন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ক্রীড়া’ হিসেবে স্বীকৃতি পেল। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অ্যাক্ট-২০১৮-এর ২(২) ও ৬ ধারা অনুযায়ী ই-স্পোর্টসকে এই স্বীকৃতি দেয়। এ ঘোষণায় উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছে দেশের গেমার এবং ই-স্পোর্টস সংশ্লিষ্ট কমিউনিটি।

ই-স্পোর্টসকে স্বীকৃতি দিলেও এর পরিচালনা ও নীতিমালা নির্ধারণে গঠিত হয়েছে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি। এই কমিটি আগামী ২১ কর্মদিবসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দেবে।

কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. সাইফুল ইসলামকে। সদস্য হিসেবে থাকছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির একজন অধ্যাপক, এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (ক্রীড়া), যিনি সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।

কমিটি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির গাইডলাইন অনুসরণ করে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করবে। সেইসঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের মতামতসহ সংশ্লিষ্ট আইন, বিধিমালা, নির্দেশনা ও সরকারি আদেশ পর্যালোচনা করবে। প্রয়োজনে তারা কোনও বিশেষজ্ঞ সদস্য কো-অপটও করতে পারবেন।

এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাওয়া প্রতিষ্ঠান গিগাবাইট বাংলাদেশ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কান্ট্রি ম্যানেজার খাজা মো. আনাস খান বলেন, ‘যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ই-স্পোর্টসকে ক্রীড়া হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে একটি নতুন ই-স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন গঠনের উদ্যোগ। এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের গেমিং কমিউনিটির জন্য এক বিশাল মাইলফলক, যা তরুণ ই-স্পোর্টস প্রতিভাদের জন্য খুলে দেবে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার।’

তিনি আরও বলেন, ‘এর মাধ্যমে তরুণ গেমাররা নিজেদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবে এবং ই-স্পোর্টস একটি সম্মানজনক পেশা হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে। গিগাবাইটের পক্ষ থেকে ই-স্পোর্টস কমিউনিটিকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ই-স্পোর্টসকে ক্রীড়া হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলে এ খাতের সঙ্গে যুক্ত তরুণরা যেমন স্বীকৃতি পাবেন, তেমনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশগ্রহণ ও সরকারি সহায়তার পথও খুলে যাবে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ই-স্পোর্টসকে ক্রীড়া হিসেবে ঘোষণা, উচ্ছ্বাস ক্রীড়াপ্রেমীদের মাঝে

আপডেট সময় : ১২:২৯:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক স্পোর্টস (ই-স্পোর্টস) এখন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ক্রীড়া’ হিসেবে স্বীকৃতি পেল। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অ্যাক্ট-২০১৮-এর ২(২) ও ৬ ধারা অনুযায়ী ই-স্পোর্টসকে এই স্বীকৃতি দেয়। এ ঘোষণায় উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছে দেশের গেমার এবং ই-স্পোর্টস সংশ্লিষ্ট কমিউনিটি।

ই-স্পোর্টসকে স্বীকৃতি দিলেও এর পরিচালনা ও নীতিমালা নির্ধারণে গঠিত হয়েছে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি। এই কমিটি আগামী ২১ কর্মদিবসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দেবে।

কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. সাইফুল ইসলামকে। সদস্য হিসেবে থাকছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির একজন অধ্যাপক, এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (ক্রীড়া), যিনি সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।

কমিটি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির গাইডলাইন অনুসরণ করে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করবে। সেইসঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের মতামতসহ সংশ্লিষ্ট আইন, বিধিমালা, নির্দেশনা ও সরকারি আদেশ পর্যালোচনা করবে। প্রয়োজনে তারা কোনও বিশেষজ্ঞ সদস্য কো-অপটও করতে পারবেন।

এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাওয়া প্রতিষ্ঠান গিগাবাইট বাংলাদেশ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কান্ট্রি ম্যানেজার খাজা মো. আনাস খান বলেন, ‘যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ই-স্পোর্টসকে ক্রীড়া হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে একটি নতুন ই-স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন গঠনের উদ্যোগ। এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের গেমিং কমিউনিটির জন্য এক বিশাল মাইলফলক, যা তরুণ ই-স্পোর্টস প্রতিভাদের জন্য খুলে দেবে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার।’

তিনি আরও বলেন, ‘এর মাধ্যমে তরুণ গেমাররা নিজেদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবে এবং ই-স্পোর্টস একটি সম্মানজনক পেশা হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে। গিগাবাইটের পক্ষ থেকে ই-স্পোর্টস কমিউনিটিকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ই-স্পোর্টসকে ক্রীড়া হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলে এ খাতের সঙ্গে যুক্ত তরুণরা যেমন স্বীকৃতি পাবেন, তেমনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশগ্রহণ ও সরকারি সহায়তার পথও খুলে যাবে।