চট্টগ্রামের জঙ্গল ছলিমপুর ও আলীনগরের দুর্গম পাহাড়ে রেব-পুলিশের অভিযান
- আপডেট সময় : ০৫:০৮:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জুলাই ২০২২
- / ১৫৩৯ বার পড়া হয়েছে
পাহাড় খেকো আর ভুমিদস্যুদের অভয়াশ্রম চট্টগ্রামের জঙ্গল ছলিমপুরকে দখলমুক্ত করে পরিকল্পিত প্রকল্প বাস্তবায়নের মহাপরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এর আগে একাধিকবার উদ্যোগ নিলেও, শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। তবে এবার আট-ঘাট বেধে মাঠে নামার কথা জানান জেলা প্রশাসক। নগরবিদরা বলছেন, সিডিএ, সিটি কর্পোরেশনসহ সব উন্নয়ন সংস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলে, সুফল মিলবে না। আর পরিবেশকর্মীদের দাবি, অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে দখলদারিত্বকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা চলছে।
চারপাশ পাহাড়ে ঘেরা প্রাকৃতিক এই দুর্গ জনপদের নাম জঙ্গল ছলিমপুর। খাতা কলমে সীতাকুণ্ড থানার অধিনস্ত হলেও এই এলাকায় প্রবেশের একটি মাত্র পথ নগরীর বায়েজিদ এলাকা দিয়ে। সরকারি খাস আর পাহাড়ি বনভুমিতে শুধু অবৈধ বসতিই নয়, রাস্ত-ঘাট, মসজিদ, মাদ্রাসা সবই গড়ে উঠেছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির সংযোগও আছে প্রতিটি স্থাপনায়।
তিন দশক ধরে গড়ে ওঠা এই দখলের রামরাজত্ব যারা নিয়ন্ত্রন করেন, তাদের অধিকাংশের ওপর রয়েছে রাজনৈতিক ছত্রছায়া। আর তাই একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েও দখলমুক্ত করা সম্ভব হয়নি জঙ্গল ছলিমপুরকে। তবে এবার আর ছাড় না দেয়ার ঘোষণা জেলা প্রশাসকের।
নগরবিদরা বলছেন, জঙ্গল ছলিমপুরসহ পুরো চট্টগ্রামকে ঘিরে মাস্টারপ্লান তৈরী করছে সিডিএ। এই বাস্তবতায় একটি এলাকাকে নিয়ে জেলা প্রশাসনের আলাদা পরিকল্পনা সাংঘর্ষিক হতে পারে। সুফল পেতে হলে সব প্রতিষ্ঠানের সমন্ময় দরকার।
জঙ্গল ছলিমপুর দখলমুক্ত করার পরিকল্পনা সফল হবে–এমনটা মানতে নারাজ পরিবেশকর্মীরা।
জঙ্গল ছলিমপুরে সাড়ে তিন হাজার একর পাহাড়ি জমিতে কেন্দ্রীয় কারাগার স্থানান্তরের পাশাপাশি পরিকল্পিত পর্যটন স্পট ও স্পোর্টস জোন গড়ে তুলতে চায় জেলা প্রশাসন।