০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪

নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত : রাস্তা তলিয়ে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৮:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অগাস্ট ২০২১
  • / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক এলাকায় তীব্র নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় নদী পারের বাসিন্দারা নিরূপায় হয়ে পড়েছেন। আর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে দেখা দিয়েছে খাবারের তীব্র সংকট। ঘরে পানি উঠায় অনেকেই ঠাঁই নিয়েছেন উচু বাঁধে।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বর্ষনে সিরাজগঞ্জে যমুনাসহ জেলার অভ্যন্তরীন সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি আরো ছয় সেন্টিমিটার বেড়েছে। শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছে নীচু এলাকার অন্তত: ৬০ হাজার পানিবন্দি মানুষ। কাঁচা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

ফরিদপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মার পানি তিন সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি কষ্টের মধ্যে পড়েছে সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ও ডিক্রিরচরের বানবাসীরা।

মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। গত এক সপ্তায় উত্তর পাঁচখোলা এলাকার বসতবাড়ি ও ফসলি জমি নদে বিলীন হয়ে গেছে।

বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলার চরাঞ্চল ও কয়েকটি ইউনিয়নের ৭০টি গ্রামে পানি ঢুকেছে। এতে ১১ হাজারেরও বেশি পরিবারের ৪০ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। বন্যায় তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। বাধে আশ্রয় নিয়েছে পানিবন্দি মানুষ।

পাহাড়ী ঢলে যমুনা, ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের ১৫ হাজার মানুষ।তলিয়ে গেছে অনেক ফসলি জমি।

উজানের ঢল ও ভারি বর্ষণের ফলে টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। যমুনা, ধলেশ্বরী, ঝিনাই নদীসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

বিপদসীমার খুব কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে দিনাজপুরের প্রধান চার নদী পুনর্ভবা, আত্রাই, তুলাই ও ছোট যমুনার পানি। এছাড়া জেলার ছোট-বড় আরো ১৫টি নদীর পানি প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত : রাস্তা তলিয়ে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা

আপডেট সময় : ০৫:৩৮:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অগাস্ট ২০২১

উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক এলাকায় তীব্র নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় নদী পারের বাসিন্দারা নিরূপায় হয়ে পড়েছেন। আর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে দেখা দিয়েছে খাবারের তীব্র সংকট। ঘরে পানি উঠায় অনেকেই ঠাঁই নিয়েছেন উচু বাঁধে।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বর্ষনে সিরাজগঞ্জে যমুনাসহ জেলার অভ্যন্তরীন সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি আরো ছয় সেন্টিমিটার বেড়েছে। শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছে নীচু এলাকার অন্তত: ৬০ হাজার পানিবন্দি মানুষ। কাঁচা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

ফরিদপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মার পানি তিন সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি কষ্টের মধ্যে পড়েছে সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ও ডিক্রিরচরের বানবাসীরা।

মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। গত এক সপ্তায় উত্তর পাঁচখোলা এলাকার বসতবাড়ি ও ফসলি জমি নদে বিলীন হয়ে গেছে।

বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলার চরাঞ্চল ও কয়েকটি ইউনিয়নের ৭০টি গ্রামে পানি ঢুকেছে। এতে ১১ হাজারেরও বেশি পরিবারের ৪০ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। বন্যায় তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। বাধে আশ্রয় নিয়েছে পানিবন্দি মানুষ।

পাহাড়ী ঢলে যমুনা, ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের ১৫ হাজার মানুষ।তলিয়ে গেছে অনেক ফসলি জমি।

উজানের ঢল ও ভারি বর্ষণের ফলে টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। যমুনা, ধলেশ্বরী, ঝিনাই নদীসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

বিপদসীমার খুব কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে দিনাজপুরের প্রধান চার নদী পুনর্ভবা, আত্রাই, তুলাই ও ছোট যমুনার পানি। এছাড়া জেলার ছোট-বড় আরো ১৫টি নদীর পানি প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে।