কয়েক দফা উদ্যোগ নিয়েও রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো যায়নি
- আপডেট সময় : ০৭:৩৮:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫০৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশে গণহারে রোহিঙ্গা প্রবেশের চার বছর পরও, তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যায়নি। দুই দফা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেয়া হলেও, নানা কারণে তা থমকে আছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দিতে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০১৭ সালের চিত্র এটি। ভেলায় চড়ে নাফ নদীর সীমান্ত পাড়ি দেয় রাখাইনের হাজার হাজার নির্যাতিত রোহিঙ্গা। কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে পর্যায়ক্রমে আশ্রয় নেয় প্রায় সাড়ে সাত লাখ বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক। বাংলাদেশে আগে থেকে বসবাস করে আসছে ৫ লক্ষ রোহিঙ্গা ।
৩৪টি আশ্রয় ক্যাম্পে জাতিসংঘের তত্বাবধানে তাদের খাদ্য সহায়তা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা
নিশ্চিত করছে সরকার। সব ধরণের সুযোগ সুবিধা দেয়ার পরও খুন, ধর্ষন, চুরি, ডাকাতি, মাদক, অস্ত্র ও স্বর্ণ চোরাচালানসহ রাষ্ট্র বিরোধি নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গাদের একটি অংশ। ফলে মাত্র চার বছরেই অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।
উখিয়া এবং টেকনাফে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসবাসের কারণে ক্যাম্প এবং আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে ।
সবুজ পাহাড় কেটে ধংস করা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার একর বনভূমি। যেখানে প্রকৃতিও এখন অসহায়।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করছে। এ প্রক্রিয়া কিছুটা বিলম্ব হলেও এক সময় তাদের নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে বললেন-শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।
রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠাতে ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সাথে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শুরু করে। পরবর্তীতে নেপিডো চুক্তিসহ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কয়েক দফা উদ্যোগ নিলেও একজন রোহিঙ্গাও মিয়ানমারে ফেরত যায়নি। রোহিঙ্গারা নাগরিকত্ব, জাতিগত পরিচয়, ভিটা মাটি ও গণহত্যার বিচারের নিশ্চয়তা না পেলে ফিরে যেতে চান মিয়ানমারে।