৫ দিনের রিমাণ্ডে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার
- আপডেট সময় : ০৭:৩০:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মে ২০২১
- / ১৫০৫ বার পড়া হয়েছে
৫ বছর ধরে নানান নাটকীয়তা শেষে চট্টগ্রামের আলোচিত মিতু হত্যা মামলায় গ্রেফতারের পর ৫ দিনের রিমাণ্ডে নেয়া হলো সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে। দুপুরে পাঁচলাইশ থানায় মিতুর পিতার দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তোলে পিবিআই। মিতুর পিতার অভিযোগ পরকীয়ায় বাধা দেয়ার কারণেই সন্ত্রাসী দিয়ে তার মেয়েকে খুন করে বাবুল। তবে বাবুলের আইনজীবীর দাবি, গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তিনি।
৫ বছর পর জট খুললো সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার। যাতে অভিযুক্ত হলেন বাবুল আক্তার নিজেই। দুপুরে পাঁচলাইশ থানায় চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি দায়ের করেন মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন। তার দাবি কক্সবাজারে কর্মরত থাকা অবস্থায় গায়ত্রি নামের ভারতীয় নাগরিক ও এনজিও কর্মকর্তার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন বাবুল। এতে বাধা দেয়ায় নিজের সোর্সদের দিয়ে মিতুকে খুন করান বাবুল।
এরআগে টানা ৫ বছরের তদন্তে চঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারের সংশ্লিষ্টতার সব প্রমাণ হাতে পায় পিবিআই। মঙ্গলবারই তাকে হেফাজতে নেয় সংস্থাটি। কিন্তু ওই মামলার বাদী বাবুল আক্তার নিজে হওয়ায় তৈরী হয় আইনী জটিলতা। পরে সকালে ওই মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়ার পর নতুন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় তাকে।
পুলিশ এই মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখিয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে তুলে ৭ দিনের রিমাণ্ডের আবেদন করে । শুনানী শেষে ৫ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তবে বাবুলের আইনজীবীর দাবি তিনি ষড়যন্ত্রের স্বীকার।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার সময় নগরীর জিইসি মোড়ে তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। শুরুতে এই ঘটনার দায় জঙ্গী গোষ্টির ওপর চাপিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করে বাবুল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ৫ বছর পর পুলিশি তদন্তে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সব কলকাঠিই নেড়েছিলেন বাবুল আক্তার নিজেই।