চট্টগ্রামে মাত্র ৬ কিলোমিটার রাস্তা তৈরী করতে ৯০ ডিগ্রি এ্যাঙ্গেলে কেটে রাখা ১৬ টি পাহাড় এবার নিশ্চিহ্ন করার অনুমতি চেয়েছে সিডিএ। এবার বৈজ্ঞানিক উপায়ে পাহাড় কাটার নতুন শিরোনাম অবিস্কার করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে পরীক্ষা নিরিক্ষা ছাড়া ফের পাহাড় কাটার অনুমতি দেবেন না পরিবেশ অধিদফতর । পরিবেশ কর্মীদের দাবি, ২ লাখ ঘনমিটার মাটি কাটার অনুমতি নিয়ে ১০ লাখ ঘনমিটারের বেশি পাহাড় কেটে পরিবেশের দুষমণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানকে ফের পাহাড় কাটার অনুমতি দিলে বিপর্যয় নেমে আসবে পরিবেশের।

ফৌজদারহাট থেকে বায়েজিদ পর্যন্ত মাত্র ৬ কিলোমিটার বাইপাস সড়কের জন্য এভাবেই ১৬ টি পাহাড় কেটে সাবার করেছে সিডিএ। ৩ বছরেরও বেশী সময় ধরে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চললেও সে সময় বাধা দেয়নি কেউ। তবে প্রকল্পের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হলে পরিবেশ অধিদফতর থেকে ১০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা জরিমানা করেছে সিডিএকে। যদিও সে জরিমানা না দিয়েই আদালতে গিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

মামলাটি চলমান রেখেই ৯০ ডিগ্রি এঙ্গেলে কেটে রাখা পাহাড়গুলো এবার ধস ঠেকানোর কথা বলে ২২ দশমিক ৫ ডিগ্রি এঙ্গেলে কাটার অনুমতি চেয়েছে সিডিএ। এদিকে পরিবেশ অধিদফতর বলছে, অপরিকল্পীতভাবে পাহাড় কাটায় ধসের আশংকা তৈরী হয়েছে। এই বিপর্যয় থেকে ঠেকাতে পাহাড় কাটার বিকল্প নেই। তবে তা যতটুকু কম কাটা সম্ভব সেই বিষয়টি মাথায় নিয়েই এগোচ্ছে তারা।

পরিবেশ কর্মীরা বলছেন, প্রকল্পের শুরুতে ২ লাখ ঘনমিটার মাটি কাটার অনুমতি নিয়ে ১০ লাখ ঘনমিটারেরও বেশি মাটি কেটেছে প্রতিষ্ঠানটি। তাই তৃতীয় কোন পক্ষের মধ্যস্ততা ছাড়া এই প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে পাহাড় কাটার অনুমতি দিলে বিপর্যয় নেমে আসবে পরিবেশের। পাহাড়কে অনেক কম ক্ষতি করে সড়ক নির্মানের নজির পার্বত্য চট্টগ্রামে রয়েছে। তাই চট্টগ্রাম শহরের একদম প্রাণকেন্দ্রে বছরের পর বছর ধরে পরিবেশ বিদ্ধংশী প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিচার চান পরিবেশ কর্মীরা। ফুটেজ-২