চট্টগ্রামের হাটহাজারীর কুলগাঁও এলাকায় মাটির নিচ দিয়ে গেছে গ্যাসের লাইন, আর ওপর দিয়ে ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুত লাইন। ১২ বছর আগেও যে সড়কে চলতো যানবাহন, সেখানে মাঝখানের সড়কটুকুর অস্তিত্বই এখন বিলীন হয়ে গেছে। এখন মরার উপর খাড়ার ঘা, ভূমিদস্যু। কয়েকজন ভূমিদস্যু মিলে রাস্তাটি দখলে নিয়ে গড়ে তুলেছেন দেয়াল। সামনের খাস জমিতে তুলেছেন দোকান-পাট। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি এই রাস্তাটি দখলমুক্ত করার উদ্যোগ না নেয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

বিএস সিটের এই রোডম্যাপটি বলছে, চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক থেকে ১২ ফিট প্রশস্ত সংযোগ সড়কটি মিশেছে সোবহান সোসাইটি আবাসিক এলাকার সঙ্গে। রাস্তাটির ওপর দিয়ে গেছে ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুত লাইন আর মাটির নিচে আছে গ্যাসের পাইপ। রাস্তাটি সরকারিকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর ২০০০ সালের দিকে টানানো হয় বিদ্যুতের তার। আর গ্যাসের পাইপ বসানো হয় ২০০৯ সালে। আগে রাস্তাটি জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত থাকলেও এখন এর অস্তিত্ব নেই। সড়কের মাথায় গড়ে তোলা হয়েছে দোকান-ঘর এবং পেছনে তোলা হয়েছে দেয়াল।

স্থানীয়দের বাসিন্দাদের অভিযোগ, সামনের দিকে রাস্তার দু’পাশের কিছু জমি কিনে পুরো এলাকাটি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি ভূমিদস্যু চক্র। গ্যাস, বিদ্যুত, পানি সব সুযোগ সুবিধা থাকার পরও শুধুমাত্র সরকারি এই রাস্তাটি দখল হয়ে যাওয়ায় আশপাশের বড় একটি এলাকা বছরের পর বছর ধরে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এখানকার বাসিন্দারা নাল-নর্দমা পেরিয়ে ভূমিদস্যুদের তুলে দেয়া দেয়ালের ফাঁক-ফোকর দিয়ে যাতায়াত করছেন।অনুস্ধান করতে গিয়ে অভিযোগ অভিযোগ জানাযায়, বন্ধ হয়ে যাওয়া ইব্রাহিম কটন মিলের সিবিএ’র সাবেক নেতা শামসুক হক ভুইয়া ও নুর ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বেই সরকারি এই রাস্তাটি দখল করা হয়েছে। যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন নুর ইসলাম চৌধুরী ।

জানতে চাওয়া হলে হাটহাজারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন এসএ টিভিকে জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন কিন্তু এলাকাবাসীর কোন লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় কোন ব্যবস্থা নিতে পারেননি।আবাসন আইন অনুযায়ী যে কোন আবাসিক এলাকায় ব্যক্তিগত জমি ছেড়ে রাস্তা তৈরির নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এখানে পুরো একটি মহল্লাকে জিম্মি করে দখল করে নেয়া হয়েছে সরকারী সড়ক।