সীমান্ত অরক্ষিত রেখে বিজিবি’র কতিপয় সদস্যের শহরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হানা

- আপডেট সময় : ০৩:৪৭:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৫১৯ বার পড়া হয়েছে
সীমান্ত অরক্ষিত রেখে শহরে এসে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হানা দিচ্ছে বিজিবি’র কতিপয় অতিউৎসাহী সদস্যরা। বৈধ পণ্যকে অবৈধ উল্লেখ করে চলছে বেপোরোয়া চাঁদাবাজি আত্মসাৎমুলক কর্মকাণ্ড। সন্দেহজনক কোন পণ্য পাওয়া না গেলেও করা হচ্ছে হয়রানী। সম্প্রতি চট্টগ্রামের বারৈয়ারহাটে এসএ পরিবহনের অফিসে ঘটেছে এমনি এক ঘটনা। অবৈধ পণ্যে তথ্য আছে দাবি করে গভীর রাতে বন্ধ অফিসে ঘুমন্ত কর্মীদের ডেকে তুলে তল্লাশীর নামে চালানো হয়েছে তাণ্ডব। জরুরী সার্ভিসে কর্মরত নিরিহ কর্মীদের সঙ্গে করা হয়েছে দু:ব্যবহার। দীর্ঘ সময় তল্লাশী করেও সন্দেহজনক কোন পণ্য না পেয়ে নিজেদের নাম পরিচয় গোপন রেখেই সটকে পরেন মোটর সাইকেলে আসা পোষাক পরিহিত বিজিবি সদস্যরা।
৪ অক্টোবর প্রায় ভোর রাত। হঠাৎ করেই চট্টগ্রামের বারৈয়ারহাট এলাকার এস এ পরিবহন অফিসে মোটর সাইকেলে আসেন বিজিবির পোষাক পরিহিত ৪ জন সদস্য। এস এ পরিবহন বারৈয়ারহাট শাখার ম্যানেজার মোঃ জামাল উদ্দিনকে ফোন করে অফিসের গেইট খুলতে বলেন তারা। ম্যানেজার তাদের পরিচয় জানতে চাইলে ফোনের সংযোগটি কেটে দেয়া হয়।
পরে অফিসে ঘুমন্ত কর্মীদের ডেকে তুলে দরজা খুলতে বাধ্য করেন তারা। বেপোরোয়া আচরণে তারাকি আসলেই বিজিবি সদস্য নাকি বিজিবির পোষাক পরিহিত ডাকাত দলের সদস্য তা নিয়েই সন্দিহান হয়ে পড়েন এসএ পরিবহনের কর্মীরা।
পরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, অফিসে ঢুকেই বেপোরোয়া আচরণ করছেন বিজিবি’র সদস্যরা। বিভিন্ন বিভ্রান্তমুলক প্রশ্ন করে ওই কর্মচারিকে ধমকাচ্ছেন তারা। শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি ও বীনা অনুমতিতে গোডাউনে ঢুকে দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাসীর নামে তাণ্ডব চালান তারা। অযাচিতভাবে গ্রাহকের তথ্য সংবলিত বিভিন্ন পার্সেল আউটগোয়িং এবং ইনকামিং খাতাও চেক করেন বিজিবি’র সদস্যরা।
দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশী চালিয়েও কোন সন্দেহজনক পণ্য না পেয়ে তরিঘরি করে চলে যান তারা। এসএ পরিবহনের কর্মীরা তাদের পরিচয় জানতে চাইলেও তারা তা দেননি।
বিনা অনুমতি ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতিতে গভির রাতে একটি বেসরকারী শীর্ষস্থানীয় কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানে ঢুকে তল্লাসীর নামে হয়রানীর ব্যপারে জানতে চাইলে কথিত অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া বিজিবি সদস্য মোহাম্মদ পারভেজ কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।
তবে শুধু এবারই নয় এর আগেও বিজিবির এমন অপেশাদার আচরণের শিকার হয়েছে এসএ পরিবহন পার্সেল ও কুরিয়ার সার্ভিস। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনলেও কোন কার্যকরী উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে জানান এস এ পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিজিবির আভিযানিক ক্ষমতা বর্ডার এলাকার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে। সীমান্ত অরক্ষিত রেখে রাতের আধারে কোন বন্ধ প্রতিষ্ঠানে অভিযানের নামে হয়রানী করার কোন এখতিয়ার তাদের নেই। কিন্তু অনৈতিক সুবিধা আদায়ের স্বার্থে এই নিয়ম মানছেন না বিজিবির কতিপয় অতিউৎসাহী সদস্যরা।