সিলেটে লোডশেডিংয়ের সিডিউল বিপর্যয়ে দিশেহারা মানুষ
- আপডেট সময় : ০১:২৬:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জুলাই ২০২২
- / ১৫১৬ বার পড়া হয়েছে
সিলেটে লোডশেডিংয়ের সিডিউল বিপর্যয়ে দিশেহারা মানুষ। স্থবির ব্যবসা-বাণিজ্য। দিনের অর্ধেক সময়ই বিদ্যুৎ থাকছে না বেশিরভাগ এলাকায়।সিলেট ও মৌলভীবাজারে প্রথম দিন থেকেই মানা হচ্ছে না এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিডিউল। বরং নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি লোডশেডিং করা হচ্ছে। ফলে বেড়েছে অবর্ননীয় দুর্ভোগ। কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদার তুলনায় অর্ধেক সরবরাহ পাওয়ায় লোডশেডিংয়ের সিডিউলের এমন দুরবস্থা।
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় লন্ডভন্ড হওয়ার পর তাপদাহের যন্ত্রণা কেটে, মেরুদন্ড সোজা করতে না করতেই, লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে সিলেটবাসী। বিদুতের লোডশেডিংয়ে হাপিয়ে উঠছেন তারা। লোডশেডিংয়ে সিডিউল মানা হচ্ছে না। পিডিবি ও পল্লী বিদুত্যের প্রতিটি ফিডারে প্রতিদিন একঘন্টা লোডশেডিংয়ের ঘোষণা থাকলেও ৩ থেকে ৪ বার টানা ২ থেকে ৩ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকছে গ্রাহকরা। ৬ থেকে ৮ ঘন্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ না পেয়ে ফুঁসে উঠছে মানুষ।
সিলেটে সন্ধ্যা হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। গভীর রাত পর্যন্ত থাকে না। শিক্ষর্থীদের পড়াশোনা বিঘ্নিত হচ্ছে। সচল রাখা যাচ্ছে না ছোট-বড় কল-কারখানা। চরম ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভসহ সড়ক অবরোধের মত কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, সিলেট জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ১৫৬ মেগাওয়াট, কিন্তু সরবরাহ করা হচ্ছে ৭৮ মেগাওয়াট। আর পুরো বিভাগে চাহিদা ২২৬ মেগাওয়াটের বিপরীতে দেয়া হচ্ছে ১১৪ মেগাওয়াট। ফলে ৫০ শতাংশ লোডশেডিং করতে হচ্ছে। একারণে সিডিউলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ভোগান্তি বাড়ছে সব শ্রেনির গ্রাহকের।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে রাত আটটার মধ্যে দোকানপাট বন্ধে অভিযান চালায় সিলেট জেলা প্রশাসন। ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত এ কাজে নিয়োজিত।
চাহিদার তুলনায় অর্ধেক সরবরাহ পাওয়ায় লোডশেডিংয়ের সিডিউল রক্ষা করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী।
দ্রুত বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে দুর্ভোগ কমবে সিলেটবাসীর এমন প্রত্যাশা সকলের।