সিরাজগঞ্জ রক্ষা বাঁধ সংস্কার না হওয়ায় বন্যার পানিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ৪৫টি গ্রামের মানুষ
- আপডেট সময় : ০৩:৩৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০
- / ১৫০৯ বার পড়া হয়েছে
দীর্ঘ ১৩ বছরেও সিরাজগঞ্জ রক্ষা বাঁধ সংস্কার না হওয়ায় বন্যার পানিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ৪৫টি গ্রামের মানুষ। যমুনা নদীর অদূরে অপরিকল্পিত ভাবে নতুন বাঁধ নির্মান করায় এই অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্ট হয়েছে। এতে মাঠের ফসল, গবাদি পশু, মাছের ঘের, কাঁচা-পাকা রাস্তাঘাট ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ভেঙ্গে বছরে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। সমস্যা সমাধানে নয়া প্রকল্পের আশ্বাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
২০০৭ সাল থেকে প্রতিবছর সিরাজগঞ্জ শহরের অদূরে খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের গুনেরগাঁতীতে ব্রম্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে, সিরাজগঞ্জ শহর ও জেলার বেশিরভাগ এলাকায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। ২০০৭ /০৮ অর্থ বছরে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার রানীগ্রাম থেকে খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের ভাটপিয়ারি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাত কিলোমিটার বিকল্প বাঁধ নির্মান করে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে নতুন বাঁধের বাইরে পড়ে যাওয়া পৌর এলাকার রানীগ্রাম, খোকশাবাড়ী গুনেরগাঁতীসহ প্রায় ৪৫টি গ্রামে প্রতিবছর পুরনো বাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে বন্যা হয়। বর্ষা মৌসুম ছাড়াও কয়েক মাস এসব এলাকার মানুষকে চরম দুভোর্গ পোহাতে হয়।
বন্যায় সামর্থবানরা নিরাপদ জায়গায় উঠেন। কিন্তু, অনেকেই পানির মধ্যেই বসবাস করতে বাধ্য হন। পুরনো বাঁধ সংস্কারের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগিরা। নতুন প্রকল্পের মাধ্যেমে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড। শুধু আশ্বাস নয়, জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত বাঁধ নির্মানের দাবী জানিয়েছে সিরাজগঞ্জবাসী।