সরবরাহ ও আমদানি বাড়লেও বাজারে কমেনি পেঁয়াজের দাম
- আপডেট সময় : ০৭:৩১:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীর অধিকাংশ পেঁয়াজের বাজারে এখনো অস্থিরতা কমেনি। দেশীয় পেঁয়াজ ৯০ থেকে একশো টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৮ থেকে টাকা দরে খুচরা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে কেজিপ্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত কমার দাবি করেছেন পাইকাররা। দাম নিয়ে নানা অসঙ্গতি এবং ক্ষোভ জানিয়েছেন ক্রেতারা। এদিকে, কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানান, দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুদ থাকার পরও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্বলতায় ভারতীয় সিণ্ডিকেট পেয়াজ কেলেংকারীতে বার বার কলকাঠি নাড়ছে।
১৪ সেপ্টেম্বর ভারতীয় রপ্তানীকারকরা হঠাৎ বাংলাদেশে রফতানী বন্ধের ঘোষণা দিলে সারাদেশের বাজারে ৪০ টাকা কেজির পেয়াজের দাম ওঠে ১শ’ টাকায়। একই ধরনের ঘটনা গতবছরও ঘটলে, পেয়াজের দাম তখন ৩শ’ টাকা পর্যন্ত ওঠে।
বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল করে হাজার কোটি টাকা লুটে নেয়ার এই নায়কেরা, তিনদিন পরই রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও দেশের বাজারে পেয়াজের দাম এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
রাজধানী ঢাকার সবচে’ বড় পাইকারি ও খুচরা বাজার– কাওরানবাজারে বৃহস্পতিবারও দেশী পেয়াজ প্রতিকেজি ৯০ থেকে ১শ’ টাকায় এবং বিদেশী পেঁয়াজ ৬৮ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে পাইকারী বাজারে একদিনে কেজিতে ৬ থেকে ১০ টাকা কমার দাবি ব্যবসায়ীদের।
দেশে পর্যাপ্ত পেয়াজ মজুদ থাকার পরেও দাম নিয়ন্ত্রণে না থাকায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভারত-নির্ভর আমদানী নীতিকে দুষলেন ক্রেতারা।
পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যর্থতার জন্য কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দায়ী করে কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলেন, গত বছরের একই সংকট থেকে যে শিক্ষা নেয়ার কথা তারা বলেছিলেন, তার কিছুই শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন না করায় পেঁয়াজ সিণ্ডিকেট এবারো একই কেলেংকারী জন্ম দেয়ার সুযোগ পেয়েছে।
দেশে প্রতিবছর ৩০ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হয় ২৪ লাখ টন পেঁয়াজ এবং সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয় ৫ থেকে ৬ লাখ টন।