শর্ত না মেনেই রাজশাহীর অলিগলি ও পাড়া-মহল্লায় গড়ে উঠেছে প্রাইভেট ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার। চিকিৎসাসেবার নামে চলছে ভুঁইফোড় এসব প্রতিষ্ঠান। এর পেছনে সরকারের গাফিলতিকেই আবার দায়ী করছে প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর মালিকদের সংগঠন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনার পর এখনো অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার শনাক্তের কাজ শেষ করতে পারেনি সিভিল সার্জন কার্যালয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী, গেল ২৩ আগস্টের মধ্যে প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে লাইসেন্সসহ সব কাগজপত্র হাল নাগাদ করার কথা। কিন্তু, এখনো এই কার্যক্রম খুব বেশি এগোয়নি। রাজশাহী বিভাগে ৭৯৩টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স রয়েছে। এরমধ্যে হাল নাগাদের জন্য আবেদন করেছে মাত্র ২৭২টি। আর, ৩৪৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে পরিদর্শনের অপেক্ষায়।

এজন্য সরকারের গাফিলতিকেই দুষছে প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাদের অভিযোগ, ন্যূনতম শর্ত না মেনেই লাইসেন্স পেয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠান। চিকিৎসার নামে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হলেও নজরদারি নেই এগুলোতে।

২০১৮ সালে লাইসেন্স ও নবায়নের জন্য অনলাইনে আবেদনের পদ্ধতি চালু হয়েছে। কিন্তু তাতে সাড়া নেই তেমন।

সিভিল সার্জন জানান, প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে আইনি শৃংখলায় আনতে কাজ চলছে।

মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস অর্ডিন্যান্সের অধীনে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো পরিচালিত হয়।