লকডাউনে শতাধিক নতুন অতিথি জন্ম নিয়েছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়
- আপডেট সময় : ০২:৪১:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুন ২০২০
- / ১৫৫২ বার পড়া হয়েছে
আড়াই মাসের লকডাউনে শতাধিক নতুন অতিথি জন্ম নিয়েছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়। নানা প্রজাতির পাখির পাশাপাশি বাচ্চা দিয়েছে হরিণ, বানর, ময়ুর, সজারু, বাঘ এমনকি কুমিরও। গর্ভবতী হয়েছে জেব্রা, ঘোড়াসহ বিরল প্রজাতির বিভিন্ন পশু। কর্তৃপক্ষ বলছেন, মানুষের আনাগোনা না থাকায় প্রকৃতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে অবলা পশুরা; আর এতেই এমন পরিবর্তন এসেছে। পরিবেশ কর্মীরা বলছেন, প্রকৃতির এই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে মানুষকেই।
করোনার কারণে, ১৯ মার্চ থেকে দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার দরজা। এরপর থেকেই মানুষের আনাগোনা না থাকায়, বদলে যাওয়া প্রকৃতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে পশুপাখিরা। আড়াই মাসের ব্যবধানে তাই প্রায় প্রতিটি খাচায়ই এসেছে নতুন অতিথি।
সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে পাখির খাচায়। ৫০ প্রজাতির পাখির ডিম ফুটেছে এখানে। ক’দিন আগে ডজনখানেক বাচ্চা হয়েছে কুমিরের। এরই মাঝে নতুন ডিমে তা’দিতে শুরু করেছে মা কুমির। হাটা শিখছে হরিণছানা, বাচ্চা হয়েছে সজারু, খরগোস, বানরসহ নানান প্রজাতির পশুর। লকডাউনের ফাঁকে গর্ভধারণ করেছে তিনটি জেব্রা, ঘোড়া ও অনেক বানর।
প্রতিদিন গড়ে দু হাজারের বেশি দর্শনার্থীর আনাগোনা ছিলো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়। অনেকেই উত্যক্ত করতো পশু পাখিদের। এসব না থাকায়, ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে প্রতিটি খাচায় দাবি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের।
পরিবেশকর্মীরা বলছেন, করোনা থেকে শিক্ষা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠলে, দর্শনার্থী নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি পশু পাখিরন বংশ বিস্তারের উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
জেলা প্রশাসন বলছে, টিকিটের টাকায় পরিচালিত চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থী নিয়ন্ত্রণের সুযোগ কম থাকলেও, খাচাগুলোকে পশুবান্ধব করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেয়া হবে।