মৃত্যুর ৯ মাস পর স্কুল শিক্ষক নাসির হত্যারহস্য উম্মোচন
- আপডেট সময় : ০৫:৫২:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ১৫৭৩ বার পড়া হয়েছে
মৃত্যুর ৯ মাস পর বরগুনায় নাসির হাওলাদার নামে এক স্কুল শিক্ষকের হত্যারহস্য উম্মোচন হয়েছে। স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিকের মুঠোফোনে ধারণ করা কথোপকথনের সূত্র ধরে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ। ১১ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে ঘটনায় জড়িত নাসিরের স্ত্রী মিতু ও তার প্রেমিক রাজুকে গ্রেফতারের পর ঘটনা বেরিয়ে আসে। এজন্য মেয়ের বেপরোয়া চলাফেরা ও অবাধ্য জীবন-যাপনকে দায়ী করেছে মিতুর বাবা। অপরদিকে নাসিরের স্বজনরা অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
গত বছরের ২৩ মে ইদুল ফিতরের আগের রাতে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাসির উদ্দিন। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে নাসিরের মৃত্যু হয়েছে-স্ত্রী মিতু এমন তথ্য বলার পর করোনা মহামারীর সেই সময়ে তরিঘরি করে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নাসিরের মরদেহ দাফন করে স্বজনরা। ঘটনার ৯ মাস পর মিতুর প্রেমিক রাজুর হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনে নাসিরকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার কথোপকথনের রেকর্ডিং পায় নাসিরের স্বজনরা। পরে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ নাসিরের স্ত্রী ফাতেমা মিতু এবং প্রেমিক রাজু মিয়াকে গ্রেফতার করে।স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে জানার পর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন নাসিরের স্বজন ও এলাকাবাসী-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব ছিল মিতু। বন্ধু-বান্ধব নিয়ে সারাক্ষণ মেতে থাকতো । বেপরোয়া চলাফেরার কারণে মিতুকে বিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্ত বিয়ের পরও মিতুর কোন পরিবর্তন আসেনি উল্টো আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে বলে জানান মিতুর বাবা।
হারানো মোবাইল ফোনের রেকর্ড ফাঁস হওয়ায় ধরা পড়ে নাসিরের ঘাতক-স্ত্রী মিতু ও প্রেমিক রাজু। নাসিরকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কম্বল চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নাসিরের স্ত্রী ফাতেমা মিতু ও তার প্রেমিক রাজু। পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উভয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে।
এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছে নিহতের পরিবার এবং এলাকাবাসী।