মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরিতে ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনশেষে চালকের আসনে বাংলাদেশ

- আপডেট সময় : ১২:৩৩:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০
- / ১৫৪৫ বার পড়া হয়েছে
মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরিতে ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনশেষে চালকের আসনে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের ২৬৫ রানের জবাবে ৬ উইকেটে ৫৬০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে টাইগাররা। টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি করে মুশফিক অপরাজিত ছিলেন ২০৩ রানে। ২৯৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেটে ৯ রান সংগ্রহ জিম্বাবুয়ের। দিনশেষে ২৮৬ রানে পিছিয়ে সফরকারীরা।
ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের সবচে’ বড় অর্জন- মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। গেলো নভেম্বরে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ২১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আর এদিনও ছিলেন অপরাজিত– ২০৩ রানে। কম যাননি বাংলাদেশের নয়া কাপ্তান মমিনুল হক। অন্তত একটা সেঞ্চুরি আসবে ব্যাটসম্যানদের উইলো থেকে। ঢাকা টেস্ট শুরুর আগে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সে পথেই হেঁটেছেন। সেঞ্চুরি হাকিয়ে কথা রেখেছেন মমিনুল হক।
এ দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের ব্যাটে তৃতীয় দিনের শুরুটা দারুণ হয় বাংলাদেশের। ৩ উইকেটে ২৪০ রান নিয়ে দিন শুরু করা বাংলাদেশকে লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে লিড এনে দেন মমিনুল-মুশফিক জুটি। ততক্ষণে অবশ্য টেস্ট ক্যারিয়ারে নবম, আর অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন মমিনুল হক।
লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরে টাইগারদের উৎসবের উপলক্ষ্য মুশফিকুর রহিম। টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি– মিস্টার ডিপেণ্ডেন্টেবলের। সেঞ্চুরির পরও সমান তালে লড়েছেন মুশফিক-মমিনুল জুটি। কিন্তু হঠাৎ বাধা আইন্সলে এনডিলোভু। তার দুর্দান্ত ডেলিভারিতে ১৩২ কট-বিহাইণ্ড মমিনুল হক। মাঝে মিথুন দ্রুত বিদায় নিলেও, অবিচল ছিলেন মুশফিক। ৬ষ্ঠ উইকেটে লিটন দাসকে নিয়ে গড়েন প্রতিরোধ। ব্যক্তিগত ৫৩ রানে লিটন আউট হলে ভাঙে ১১১ রানের জুটি।
সঙ্গী হারালেও পথ হারাননি মুশফিক। সকালে হাফ-সেঞ্চুরির আনন্দ। দুপুরে সেঞ্চুরির উচ্ছ্বাস। আর বিকেলে ডাবল সেঞ্চুরির গর্বিত হাসি। টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরিতে, ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনটা হয়ে থাকলো মুশফিকময়। এই সেঞ্চুরির সুবাদে তামিমকে টপকে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের মালিক এখন মুশফিকুর রহিম। মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরির পরপরই ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে রান তখন ৬ উইকেটে ৫৬০। যা ঘরের মাঠে সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
২৯৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা সফরকারীরা, প্রথম ওভারেই হারায় ২ উইকেট। পরপর দুই বলে মাসবাউরে ও টিরিপানোকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন নাইম হাসান। তৃতীয় দিনশেষে এমন পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে এগিয়ে রাখবে বাংলাদেশকে। বিপরীতে ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কায় টিম জিম্বাবুয়ে।