০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

মুজিববর্ষের আশ্রয়ণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৮:১১:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১
  • / ১৫১১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অনিয়মে জড়িত ১৮০ জনের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও রয়েছেন। এরই মধ্যে দু’জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। ওএসডি করা হয়েছে পাঁচজনকে।

‘মুজিববর্ষে একটিও মানুষও গৃহহীন থাকনে না’ এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব উদ্যোগে ভুমিহীন ও গৃহহীন প্রান্তিক মানুষের জন্য সরকারি খাস জমিতে বিনামূল্যে জমি ও ঘর তৈরী করে দেয়ার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। প্রথম ধাপে গেল জানুয়ারীতে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার’ হিসেবে সারা দেশের ৬৯ হাজার ৯০৪ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমি ও ঘর দেওয়া হয়েছে। এপ্রিলে দ্বিতীয় ধাপে ৫০ হাজার এবং জুনে ঘর পেয়েছে প্রায় ৫৪ হাজার পরিবার।

কিন্তু গৃহহীনদের স্থায়ী ঠিকানায় স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন মলিন হতে বসেছে। সামান্য বৃষ্টিতে ডুবে যাচ্ছে ঘর। নরম মাটিতে, মানহীন কাঁচামাল দিয়ে তৈরী ঘর ইতোমধ্যেই ভেঙ্গে যাচ্ছে।আবার কোথাও গুনতে হয়েছে অন্যায্য বাড়তি অর্থ।

২২ জেলার ৩৬টি উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিদর্শন দলের প্রতিবেদনে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর, বরগুনার আমতলী, বগুড়ার শেরপুর, শাজাহানপুর, হবিগঞ্জের মাধবপুর, সুনামগঞ্জের শাল্লা ও মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলায় ঘর নির্মাণে অনিয়ম, অবহেলা ও দুর্নীতির কথা উঠে এসেছে। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।

গত রবিবার সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে ইউএনওর দায়িত্ব পালন করে আসা শফিকুল ইসলামকে ওএসডি করা হয়েছে। বরগুনার আমতলীর ইউএনও আসাদুজ্জামানকে ওএসডি করা হয়েছে গতকাল সোমবার। এদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের এ প্রকল্পে দুর্নীতি ও গাফিলতির অভিযোগে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ পাঁচ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এবার ওএসডি করেছে সরকার। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শফিকুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ সদরের এসিল্যান্ড শেখ মেজবাহ-উল-সাবেরিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবায়েত হায়াত শিপলু এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লিয়াকত আলী শেখও আছেন এ তালিকায়।

নীতিনির্ধারণী কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিটি অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হচ্ছে।

দেশব্যাপী নির্মিত এসব ঘর নিয়ে কারও অভিযোগ থাকলে তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় কিংবা জেলা প্রশাসকের দপ্তর এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও অবহিত করার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসন।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মুজিববর্ষের আশ্রয়ণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৮:১১:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১

মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অনিয়মে জড়িত ১৮০ জনের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও রয়েছেন। এরই মধ্যে দু’জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। ওএসডি করা হয়েছে পাঁচজনকে।

‘মুজিববর্ষে একটিও মানুষও গৃহহীন থাকনে না’ এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব উদ্যোগে ভুমিহীন ও গৃহহীন প্রান্তিক মানুষের জন্য সরকারি খাস জমিতে বিনামূল্যে জমি ও ঘর তৈরী করে দেয়ার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। প্রথম ধাপে গেল জানুয়ারীতে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার’ হিসেবে সারা দেশের ৬৯ হাজার ৯০৪ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমি ও ঘর দেওয়া হয়েছে। এপ্রিলে দ্বিতীয় ধাপে ৫০ হাজার এবং জুনে ঘর পেয়েছে প্রায় ৫৪ হাজার পরিবার।

কিন্তু গৃহহীনদের স্থায়ী ঠিকানায় স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন মলিন হতে বসেছে। সামান্য বৃষ্টিতে ডুবে যাচ্ছে ঘর। নরম মাটিতে, মানহীন কাঁচামাল দিয়ে তৈরী ঘর ইতোমধ্যেই ভেঙ্গে যাচ্ছে।আবার কোথাও গুনতে হয়েছে অন্যায্য বাড়তি অর্থ।

২২ জেলার ৩৬টি উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিদর্শন দলের প্রতিবেদনে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর, বরগুনার আমতলী, বগুড়ার শেরপুর, শাজাহানপুর, হবিগঞ্জের মাধবপুর, সুনামগঞ্জের শাল্লা ও মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলায় ঘর নির্মাণে অনিয়ম, অবহেলা ও দুর্নীতির কথা উঠে এসেছে। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।

গত রবিবার সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে ইউএনওর দায়িত্ব পালন করে আসা শফিকুল ইসলামকে ওএসডি করা হয়েছে। বরগুনার আমতলীর ইউএনও আসাদুজ্জামানকে ওএসডি করা হয়েছে গতকাল সোমবার। এদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের এ প্রকল্পে দুর্নীতি ও গাফিলতির অভিযোগে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ পাঁচ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এবার ওএসডি করেছে সরকার। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শফিকুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ সদরের এসিল্যান্ড শেখ মেজবাহ-উল-সাবেরিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবায়েত হায়াত শিপলু এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লিয়াকত আলী শেখও আছেন এ তালিকায়।

নীতিনির্ধারণী কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিটি অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হচ্ছে।

দেশব্যাপী নির্মিত এসব ঘর নিয়ে কারও অভিযোগ থাকলে তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় কিংবা জেলা প্রশাসকের দপ্তর এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও অবহিত করার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসন।