বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়হীনতার কারণেই বারবার অগ্নিকান্ডের ঘটনা
- আপডেট সময় : ০৮:০০:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
বারবার অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অদক্ষতা, সমন্বয়হীতা ও তদারকির অভাবকেই দুষছেন তারা। এসএটিভিকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রতিষ্ঠানগুলোর ত্রুটি-বিচ্যুতির কথা তুলে ধরে বিশেষজ্ঞরা বলেন, অগ্নিনির্বাপণ, কল-কারখানা পরিদর্শন, স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন বিভাগ এসব দুর্যোগ নিরসনে ব্যর্থ হলে মধ্যম আয়ের উপযুক্ত রপ্তানীমুখী দেশ হতে ব্যর্থ হবে বাংলাদেশ।
এসব মৃত্যু কেবল কিছু সংখ্যা নয়। প্রতিটি মৃত্যুই যেন একেকটি পরিবারের ধংসের আর্তনাদ। বছরের পর বছর ধরে চলে আসা এমন দুর্ঘটনার দায় কার?– এভাবে আর কতো তাজা প্রাণ অকালে ঝরে যাবে?– সেই প্রশ্ন এখন স্বজনসহ সবারই।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত একযুগে দেশে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে প্রায় এক লাখ ৮০ হাজারের মতো। নিহতের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার। আহত অন্তত সাড়ে ৮ হাজার। ২০১৯ সালেও ১৭৪টি বস্তিতে আগুনের ঘটনায় প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। ২০১৮ সালে ঘটে সর্বোচ্চ ১৯ হাজার ৬৪২টি আগুনের ঘটনা। আর সবচে’ বেশী প্রাণহানীর বছর- ২০১১ সালে ১৫ হাজার ৮১৫টি ঘটনায় নিহত হন ৩৬৫ জন। এক দশকে আর্থিক ক্ষতিসরকারি হিসেবেই প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা।
এসব ঘটনার মধ্যে তাজরীন ফ্যাশন, ঢাকার নিমতলী, চুড়িহাট্টা, বনানীর এফআর টাওয়ার, মিরপুর ও কড়াইল বস্তির রেস কাটতে না কাটতেই আবার আলোচনায় নারায়ণগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ আগুনের চিত্র।
বারবার অগ্নিকান্ডের ঘটনা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতা ও তদারকির গাফিলতিই প্রধান কারণ। অন্যদিকে অপরিকল্পিত ডিজাইন ও নিম্নমানের সরঞ্জামাদি ব্যবহার করেও কারখানাগুলোকে মৃত্যুকূপে পরিণত করার অভিযোগ তাদের।
এসব অগ্নিকান্ডের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও সুপারিশ কখনো আলোর মুখ দেখে না উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা জানান, রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ কখনোই এর দায় এড়াতে পারে না।
এসব বিপর্যয় কাটাতে না পারলে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবার পর বাংলাদেশ রপ্তানীবাণিজ্যে বড় ধরনের বাধার মুখোমুখি হলে অর্থনীতিতে বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।